ইডি হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ক্ষতি হয়েছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি। ধাক্কা খেয়েছে মন্ত্রিসভার বিশ্বাসযোগ্যতা। যা উপলোব্ধি করছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উঠল পার্থকাণ্ড। যা নিয়েই নিজের মন্ত্রিসভার সতীর্থদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পার্থ ইস্যু উত্থাপণ করেন। জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে মমতা বলেছেন, 'এ রকম যেন আর কোনও ঘটনা না ঘটে। সেই বিষয়ে ,সকলকে সতর্ক হতে হবে। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে দল ও সরকারের অসম্মান হয়।'
আরও পড়ুন- মমতা মন্ত্রিসভার ৪-৫ জনের উপর কোপ, নতুন মুখ ক’জন? বুধবার রদবদল
২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে। এরপর গত বুধবার পার্থর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, আইনিভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দলের কারোর শাস্তি হলে তাঁর কিছু যায় আসে না। তৃণমূল অন্যায়কে বরদাস্ত করবে না। এরপরই পার্থকে দলীয় সব পদ ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে শাসক দলের অন্দর থেকেই আওয়াজ ওঠে।
আরও পড়ুন- বঙ্গের মানচিত্রে জুড়ল আরও ৭ জেলা, নাম ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মহাসচিব সহ সব পদ ও রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকেও বরখাস্ত করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন, 'কোথা থেকে এত টাকা এল, তদন্ত হোক। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে উনি সসম্মানে দলে ফিরুন। আমরা দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করি না। যত বড় নেতা, বিধায়ক, সাংসদ হোন না কেন তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে আশ্রয় দেয় না।'