Patna horror: নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিউরে উঠল দেশবাসী। বাড়ি থেকে উদ্ধার দুই নাবালক ভাই-বোনের পোড়া দেহ। খুন করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ।
পাটনার খুব কাছের এক গ্রামে ঘটে গেল রীতিমতো গা শিউরে ওঠা ঘটনা। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল দুই নাবালক ভাই-বোনের ঝলসানো মৃতদেহ। পরিবার দাবি করেছে, তাদের প্রথমে খুন করে পরে দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে অপরাধের প্রমাণ লোপাট করা যায়।
মৃতরা হল ১৫ বছরের অঞ্জলি কুমারী এবং ১০ বছরের অংশুল কুমার। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন। পাটনা সিটি এসপি (পশ্চিম) ভানু প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুন বলেই মনে হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে, হত্যার পর আগুন দেওয়া হয়েছে, না কি আগুন ধরিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কী ঘটেছিল?
নিহতদের বাবা লালন গুপ্তা, যিনি স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে কর্মরত, জানান— “ঘটনার আগে দুই-তিনজন অপরিচিত লোককে বাড়ির পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে বাড়ির ভিতরে ছেলে-মেয়ের ঝলসানো দেহ পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা হলে দরজা খুলে বা জানলা দিয়ে ওরা পালানোর চেষ্টা করত। কিন্তু এমন কিছু হয়নি। অর্থাৎ, খুন করে আগুন লাগানো হয়েছে।”
অঞ্জলি ও অংশুলের মা, যিনি পাটনা AIIMS-এ কাজ করেন, বাড়ি ফিরে সেই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন এবং সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে খবর দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামে শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ভিড় জমায় বাড়ির সামনে। নিহতদের আত্মীয়রা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লালন গুপ্তা বলেন, “যদি এই ঘটনা কোনও উচ্চপদস্থ অফিসারের পরিবারে ঘটত, তবে পুলিশ এতক্ষণে দোষীদের পাকড়াও করে ফেলত। আমি চেয়েছি দোষীদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হোক।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফরেনসিক দল ও ডগ স্কোয়াড। যদিও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পাশাপাশি খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে পরিবারের অভিযোগ ও ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করে তদন্ত চালানো হচ্ছে। এসপি ভানু প্রতাপ সিং বলেন, “এই ঘটনার পিছনে পরিচিত কারও হাত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। আপাতত, পরিবারের সদস্যরা শোকাহত, তাই এখনই বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। তবে যেটুকু তথ্য তারা দিয়েছেন, তদন্তে তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে"।