রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে কান পাততে নারাজ আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ও আগামিকাল রাজ্যের সব সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালনে অনড় যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। কলকাতার ধর্মতলায় বকেয়া ডিএ-র দাবিতে তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি ২৫ দিনে পড়ল। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দাবি, হকের ডিএ-র দাবিতে আজ সোমবার ও আগামিকাল মঙ্গলবার রাজ্যের সব সরকারি দফতরে কর্মবিরতিতে সামিল হবেন সরকারি কর্মচারীরা। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ধরনের হুঁশিয়ারির কাছে তাঁরা মাথা নত করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন।
মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ পেয়ে খুশি নন সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতার ধর্মতলার শবিদ মিনার চত্বরে একটানা অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। একইসঙ্গে চলছে অনশন-আন্দোলন কর্মসূচিও। ইতিমধ্যেই অনশন চালিয়ে বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মী অসুস্থ হয়েও পড়েছেন।
আরও পড়ুন- DA: সোম-মঙ্গল অফিসে না এলে কড়া মাশুল চোকাতে হবে, নির্দেশিকা জারি নবান্নর
ডিএ-র দাবিতে আজ সোমবার ও আগামিকাল মঙ্গলবার রাজ্যের সব সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দেয় আন্দোলনরত যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সরকারি কর্মীদের এই কর্মবিরতিতে সমর্থন করেছে ১২ জুলাই কমিটি-সহ আরও কয়েকটি সংগঠন। সোম-মঙ্গলবার সরাকরি দফতরগুলিতে কর্মীরা পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাজ্য সরকারও অনড় অবস্থানে রয়েছে। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সোম এবং আগামিকাল মঙ্গলবার অফিসে না এলে কর্মীদের চাকরি জীবনের ১ দিন কমিয়ে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে পড়তে হতে পারে শোকজের মুখেও। একদিনের বেতনও কেটে নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর। নির্দিষ্ট ও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া এই দু’দিন অফিস কামাই করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- বাড়ছে তাপমাত্রা, আজ বৃষ্টি ভাসাবে দুই জেলা, জানুন আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট
তবে রাজ্যের এই হুঁশিয়ারিতেও দমতে নারাজ আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। বরং এক্ষেত্রেও আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন অনির্দিষ্ট কাল ধরেই চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্যের সরকারি দফতরে কর্মবিরতি চললে ভুগতে হতে পারে আমজনতাকে। ফি দিন নানা কাজে সরকারি দফতরে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে এই দু'দিন কর্মবিরতি চললে ব্যাহত হতে পারে সরকারি দফতরগুলির দৈনন্দিন পরিষেবা।