মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেছিলেন। অধিকারীদের ওপর ভরসা করেছিলেন। আর, তার বদলে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা পেয়েছেন। মিরজাফরকে যেমন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে বাংলার মানুষ মনে রেখেছেন। তেমনই শুভেন্দু অধিকারীকেও আগামী ৫০০ বছর বিশ্বাসঘাতকতার জন্য বাংলার মানুষ মনে রাখবেন। শনিবার কাঁথির জনসভা থেকেই ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক অভিযোগ করেন, 'হেরেছে বলে শুধু তৃণমূলের সঙ্গে নয়। বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করেছে। আমরা উন্নয়নের পক্ষে কথা বলি। আর, ওরা হিন্দু-মুসলমান বিভেদ করে গন্ডগোল পাকাতে চায়। হেরেছে বলে বাংলার একের পর এক প্রকল্প আটকে রেখেছে। এমনকী, ১০০ দিনের কাজে বাংলার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকাও আটকে রেখেছে। বিজেপির সাংসদ বাঙালিদের রোহিঙ্গা বলছেন, বাংলাদেশি বলছেন। কিন্তু, তারপরও দেখবেন শুভেন্দু অধিকারীর এনিয়ে কোনও প্রতিবাদ নেই।'
এর পাশাপাশি, অভিষেক জানান, অধিকারীরা চলে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিধাই হয়েছে। তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী হামেশাই বলেন, অধিকারী পরিবার না-থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। আমি বলি আপনারা গিয়ে ভালোই হয়েছে। ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল তখন ২১১টা সিট পেয়েছিল। আর, ২০২১ সালে আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে যখন নির্বাচন হল, তখন তৃণমূল কংগ্রেস ২১৫টা আসন পেয়েছে। কারণ, তখন তৃণমূল কংগ্রেসে অধিকারী পরিবার ছিল না।'
আরও পড়ুন- ‘পারলে আমাকে গ্রেফতার করে দেখাক,’ মঞ্চেই শুভেন্দু-শাহকে খোলা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
অভিষেক আরও বলেন, 'আমাকে অপমান করতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে উনি (শুভেন্দু অধিকারী) অপমান করেছেন। এখানে ক্ষুদিরামের মূর্তি দেখবেন, সবসময় মাথা উঁচু। বীরেন্দ্র শাসমল বলেছিলেন, তাঁকে যাতে দাঁড় করিয়ে পোড়ানো হয়। আর, সেই মেদিনীপুরের ছেলে হয়ে শুভেন্দু অধিকারী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দলে যোগদান করেছেন। যে শ্যামাপ্রসাদ মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কড়া নিন্দা করেছিলেন। তাই কাল থেকেই প্রতিটি বুথে আগামী একমাসের জন্য বেইমান মুক্ত কর্মসূচি চালাবে তৃণমূল।'