ahmedabad flight crash: ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গেল গুজরাটের আমেদাবাদে। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান টেক অফের ৯ মিনিট পরেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তেই পাইলট ATC-তে 'মেডে কল' করেছিলেন। তবে পরের মুহূর্তেই এটিসির তরফে যোগাযোগ করা হলে কোনও সাড়া মেলেনি।
দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ সংস্থা ANI-এর বরাত দিয়ে DGCA জানিয়েছে, "ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি-তে ৮২০০ ঘন্টার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সহ-পাইলটের ১১০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। এটিসি অনুযায়ী, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে রানওয়ে ২৩ থেকে ১৩৩৯ ভারতীয় সময় (০৮০৯ ইউটিসি) এ যাত্রা শুরু করে। এটি এটিসি-তে 'মেডে কল' করেছিল, কিন্তু এরপর, এটিসি-র করা কলের কোনও সাড়া বিমানটি পায়নি। রানওয়ে ২৩ থেকে যাত্রা শুরু করার পরপরই বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে মাটিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।"
কী এই 'মেডে কল' ?
এই 'মেডে কল' (Mayday call)-কে সহজ ভাষায় 'সাহায্যের ডাক' বলা যেতে পারে। এই মেডে কল আসলে আন্তর্জাতিক রেডিও জরুরি সংকেত যা কোনও বিমান কিংবা কোনও জাহাজ কোনও বিপদ বা জরুরি অবস্থার জন্য ব্যবহার করে। এটি মূলত রেডিও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 'মেডে' শব্দটি তিনবার বলার মাধ্যমে চরম বিপদ সংকেত বোঝানো হয়। তারপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে এটিসি। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটির ক্ষেত্রেও পাইলট মেডে কল দিয়েছিলেন। তবে এটিসির তরফে বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash live news: দেশের ইতিহাসে অন্যতম সাংঘাতিক বিমান দুর্ঘটনা! আহমেদাবাদে ২০০-এরও বেশি যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
আরও পড়ুন- Plane Crash in Ahmedabad: ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল উড়ান