একুশের নির্বাচনের পর কেটে গিয়েছে দেড় বছর। কিন্তু এখনও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বঙ্গ বিজেপি। বার বার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বাংলায় দলীয় কর্মীদের উপর হিংসার কথা তুলে ধরেছেন পদ্ম নেতারা। এবার প্রধানমন্ত্রীর মুখেও উঠে এল হিংসার প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেল বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের প্রশংসা। দিল্লিতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রথম দিনই বাংলার কথা নিয়ে সরব মোদী।
সোমবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মোদীর বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলায় হিংসার প্রসঙ্গ। বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। তাঁর মুখে কর্মীদের প্রশংসা ঝরে পড়ে। মোদী বলেন, "যেভাবে বাংলায় বিজেপি কর্মীরা লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়।" তার পরই তিনি বলেন, "লড়াই চলবে।" বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বঙ্গ নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দেন মোদী।
উল্লেখ্য, তেইশে দেশের ৯ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সবকটিতেই জিততে হবে, এমনই কড়া নির্দেশ জে পি নাড্ডার। দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তেইশের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সোমবার বৈঠকে নাড্ডার কড়া হুকুম, দলের সব নেতা-নেত্রীদের কোমর বেঁধে নামতে হবে। যাতে ৯টি রাজ্যেই জয়ী হয় পদ্মশিবির। তাহলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিকের রাস্তা আরও মসৃণ হবে।
আরও পড়ুন ‘চকোলেট বোমা ফাটালেই NIA আসছে’, ফের সোচ্চার ‘তিতিবিরক্ত’ মমতা
এই ৯টি রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, ত্রিপুরায় বিজেপিরই সরকার আছে। আর নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে জোট সরকার। বৈঠকে উপস্থিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, নাড্ডাজি নেতৃত্বকে বলেছেন, সবরকম ভাবে ৯টি রাজ্য জয়যুক্ত হওয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কোমর বেঁধে কর্মীদের মাঠে নামতে হবে। যাতে কোনও ভাবে একটি নির্বাচনেও দল না হারে।
নাড্ডা বৈঠকে জানিয়েছেন, গুজরাটে বাইশে যেভাবে বিপুল আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে, সেই মডেলে বাকি রাজ্যগুলিতে ভোট করাতে হবে কর্মীদের। ঐতিহাসিক জয় চাই। প্রধানমন্ত্রী সামনে থেকে নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে রাজ্য সংগঠন, নেতা-কর্মীরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন জয় এনে দিয়েছে। বুথ স্তরে কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছিল দল। সেই ফলই চাই ৯ রাজ্যের নির্বাচনে।