PM Modi to visit West Bengal: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জনসভার মধ্য দিয়ে এরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের (Lok sabha Polls 2024) প্রচার শুরু করছে BJP। দলে নম্বর টু, অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলা থেকে ৩৫ জন সাংসদের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, যাতে অন্তত ২০-২৫টি লোকসভা আসনে জয় আসে, সেই লক্ষ্যেই এই টার্গেট শাহের। একেবারেই যেন বহুজাতিক সংস্থার মার্কেটিং পলিসি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি লোকসভা কেন্দ্র ও গরমাগরম ইস্যু মাথায় রেখেই বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে নামছেন বিজেপির প্রধান মুখ।
১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর ও ৬ মার্চ বারাসতে জনসভা রয়েছে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর। কিন্তু ভোটের দামামা বাজাতে এই তিন জায়গাকেই কেন বেছে নিয়েছে বিজেপি? রাজনৈতিক মহলের মতে, একেবারে অঙ্ক কষেই বাংলার ময়দানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রচার শুরু করছে পদ্ম শিবির। সেখানে প্রধান বক্তা থাকছেন দলের মুখ্য ভোট ক্যাচার।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ (Arambag) লোকসভা কেন্দ্রে স্বল্প মার্জিনে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। মাত্র ১১৪২ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার জয় পেয়েছিলেন। ২০২১-এর নির্বাচনে এখানকার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভালো ফল করেছে বিজেপি। তাই এবার এই আসনে জয়ের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে মোদীর (Modi) জনসভা বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে পারবে বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্রে একটা সময় পরপর দু'বার বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (Satyabrata Mukherjee) জয়ী হয়েছিলেন। ৯০-এর দশকে সেই সময় বঙ্গ বিজেপি সাংগঠনিকভাবে তেমন শক্তিশালীও ছিল না।
রাজ্যের বুথে বুথে এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না পদ্মশিবিরের। দ্বিতীয়ত কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ বাতিল হয়েছে। অভিযোগ ছিল, মোটা অর্থের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি ভোটে হেরে গিয়েছিল। পাশের রানাঘাটে (Ranaghat) জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার তাদের লক্ষ্য কৃষ্ণনগরও।
আরও পড়ুন- Digha: এবার দিঘায় রাম মন্দির? যুগান্তকারী তৎপরতার তুমুল চর্চা!
সবার মুখে মুখে এখন দু'টি নাম শাহজাহান (Shahjahan) ও সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বারাসতে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মহিলা ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) ঘোষণায় মহিলা ভোটারদের বড় অংশের সমর্থন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এবার লোকসভার আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা।
সন্দেশখালিতে আন্দোলনকারী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, অত্যাচার বন্ধ করার দাবি তুলছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছেন তাঁরা। বিক্ষোভে সর্বত্র মহিলারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিজেপি যে তাঁদের পাশে আছে সেই বার্তা দিতেই বারাসতে ৬ মার্চ জনসভা করবেন নমো। এবারের ভোটে বড় ইস্যু সন্দেশখালি।