পরিত্যক্ত ইটভাটায় এই সেই ল্যাবরেটরি। কাচের পাত্র, তার-সহ একগুচ্ছ সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
দত্তপুকুর বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা এখনও থমথমে। সময় যত এগোচ্ছে সামনে আসছে একের পর এক রহস্যঘেরা কাহিনী। সোমবার সকালে বিস্ফোরণস্থলের ৮০০ মিটার দূরত্বেই পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় হানা দেয় পুলিশ। গতকাল এখানেই ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। ইটভাটা থেকে এদিন বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতমস্তক একটি ল্যাবরেটির চলতো এখানে। বাজি তৈরির আড়ালে বিরাট নাশকতার জাল বোনা হচ্ছিল? কী ধরনের বাজি তৈরির জন্য রীতিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতো এখানে? বিষয়টি ভাবাচ্ছে দুঁদে পুলিশকর্তাদেরও।
Advertisment
গতকাল ভাঙচুরের পর পরিত্যক্ত ইটভাটায় আজও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন সরঞ্জাম। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
দত্তপুকুরের বেরুনান পুকুরিয়া এলাকার কেভিএম ইটভাটা। বিস্ফোরণস্থল থেকে এই এলাকার দূরত্ব মেরেকেটে ৮০০ মিটারের মতো। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরির কাজ চলতো। রীতিমতো ল্যাবরেটরির আদলে গড়া পরিত্যক্ত এই ইটভাটার ঘর। এখানে ছিল কাচের টিউব, তার ও বিভিন্ন রাসায়নিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বানানো হতো নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এমনকী বাজি তৈরি করতে এখানে বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদেরও আনা হতো বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। বহুমূল্যের যন্ত্রপাতি এনে এখানে চলছিল এই ল্যাবরেটরি।
কী চলতো ইটভাটায়? শুধুই কি সাধারণ শব্দবাজি বা আতসবাজি তৈরির জন্যই চলতো এই ল্যাবটি। নাকি বড়সড় কোনও নাশকতার জাল বোনা হচ্ছিল শহর কলকাতা লাগোয়া জেলার এই অংশে। পিছনের আসল মাথা কারা? কী ধরনের বাজি তৈরির জন্য চলতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা? এই সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে দুঁদে পুলিশকর্তারা। তবে স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, শুধুই সাধারণ বাজি তৈরির জন্য এই ল্যাবরেটরিটির ব্যবহার হতো না। বড়সড় নাশকতার জাল বোনা হচ্ছিল বলে সন্দেহ অনেকেরই। তবে প্রকাশ্যে কেউই এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।