চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। পুলিশের সঙ্গে মিলে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে বেপরোয়া হামলা-ভাঙচুর-মারধর-লুঠপাট। শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার বিজেপি। বাড়িতে ঢুকে মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে হামলা-মারধরের ঘটনাটি বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলেই পাল্টা দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
অভিযোগ, ভগবানপুরের উত্তর বরোজ এলাকায় গতকাল গভীর রাতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশির নামে ঢুকে পড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাও ঢুকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। শুধু ভাঙচুরই নয়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপি সমর্থক পরিবারগুলির সদস্যরা। বাড়িতে ঢুকে মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পার্শ্ববর্তী বিজেপি কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- ১০ তলা থেকে মাটিতে আছাড় বালিকার, বিরাট ফাঁক সুরক্ষায়! অভিজাত আবাসনে তুমুল বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার বরোজ, অর্জুন নগর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি। এলাকায় বোমাবাজির পাশাপাশি বহিরাগতদের এনে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। শাসকদলের মতদেই বেপরোয়া এই তাণ্ডব বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও বিজেপির তোলা এই সব অভিযোগই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভগবানপুরের ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি স্থানীয় শাসকদলের নেতাদের।
আরও পড়ুন- অভিষেককে জবাব দিতে ‘ধনুকভাঙা পণ’ শুভেন্দুর, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কোর্টের ছাড়
এদিকে, ভগবানপুরে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। টুইটে তিনি লিখেছেন, ''মহিলাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতেই ছুটে পালিয়ে যায় পুলিশের গাড়ি করে আসা পুলিশ সহ একাধিক দুষ্কৃতকারী। মহিলাদের প্রতি এরকম নক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই, পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি মানুষের প্রতিরোধের রোষে পড়লে ফল ভালো হবে না। শুধরে যাও।''
ভগবানপুরের বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ''বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের অন্য অনেক এলাকার মতোই পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশের মদতে অত্যাচার চলেছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। এর জবাব এবার সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেবে।''
উল্টোদিকে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তরুন মাইতি বলেন, ''এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। নিজেদের গন্ডগোলকে আমাদের উপর চাপিয়ে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।''