দিঘার কাছে ধুন্ধুমারকাণ্ড, পুলিশ-জনতা ধস্তাধস্তি, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ

সৈকত শহরের কাছে কেন এই রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি?

সৈকত শহরের কাছে কেন এই রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি?

IE Bangla Web Desk & Rajit Das
New Update
Police villagers fight near Digha over illegal hotel demolition , দিঘার কাছে ধুন্ধুমারকাণ্ড, পুলিশ-জনতা ধস্তাধস্তি, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ

বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া পুলিশের। ছবি- কৌশিক দাস

পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মন্দারমণিতে। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গেলে রাস্তায় গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদের। স্থানীয়দের সরাতে লাঠিচার্জও শুরু করে পুলিশ।

Advertisment

অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে কিছু দিন আগে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় নির্মিত চারটি হোটেল ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মোতাবেক বৃহস্পতিবার কাঁথি থেকে থেকে মন্দারমণি যাওয়ার রাস্তায় শৌলার কাছে মুকুন্দপুর গ্রামে অবৈধ চারটি হোটেল ভাঙার কাজ শুরু করতে যায় পুলিশ এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা। এই জায়গা দিঘা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। সকালে অবৈধ হোটেল ভাঙতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন- মৃত শিশুকে ‘ফিরে পেতে’ অপার আকুতি! এ কী কাণ্ড ঘটাল পরিবার!

Advertisment

এরপর দুপুরে সেখানে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও পুলিশ আসার আগেই রাস্তায় শুয়ে পড়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। জোর করে নির্মাণ ভাঙতে গেলে পুলিশ-গ্রামবাসী ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। তার মধ্যেই আদালতের নির্দেশ মতো বুলডোজ়ার নিয়ে এসে হোটেল ভাঙার কাজও চলে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় অনেক অবৈধ হোটেল কিংবা রিসর্ট আছে। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় সেগুলি রমরমিয়ে চলছে। কেই কোনও সমস্যার কথা বলছে না। তাহলে কেন বেছে বেছে এই চারটি হোটেলকে ভাঙা হবে?

Digha East Midnapore