Advertisment

বিজেপির 'ভোটের দাবি'কে বলে বলে গোল দিচ্ছে মমতার 'ভোট ভিক্ষা', দাবি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর

মোদী-মমতা কী সত্যিই সেটিং হয়েছে? কী বললেন বিশ্বনাথ চক্রবর্তী?

author-image
Joyprakash Das
New Update
Political analyst Biswanath Chakrabortys analysis on contemporary politics of West Bengal, বিজেপির 'ভোটের দাবি'কে বলে বলে গোল দিচ্ছে মমতার 'ভোট ভিক্ষা', দাবি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ডঃ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।

সময়ের তালে তাল মিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতির ধারায়ও নানা পরিবর্তন এসেছে। প্রায় আড়াআড়ি ভাবে ধর্মকে কেন্দ্র করে ভোটের বিভাজন ঘটে গিয়েছে এই রাজ্যে। ভোট ব্যাংক বজায় রাখতে সরাসরি বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মীয় জিগিরকে সামনে টেনে পরিচয় সত্ত্বার রাজনীতি করছে, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন বঙ্গ রাজনীতি খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু।

Advertisment

প্রশ্ন- বাংলার রাজনীতির ধারার কোনও বদল হবে? হিংসা কি চলতেই থাকবে?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- হিংসা একটা স্ট্রাকচারাল ফর্ম বা কাঠামোগত রূপ নিয়েছে। প্রাত্যহিক জীবনে ভায়োলেন্স একটা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এর পিছনে দুটো কারণ আছে। রাজনীতিবিদরা বুঝতে পারছে হিংসা দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হাসিল করা যাচ্ছে। মানুষকে মোবিলাইজ করার থেকে মানুষকে একটা বোম বা গুলিতে অনেক সহজেই ভয় দেখিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়। পঞ্চায়েত বা পুরসভা নির্বাচন বলুন দেখা যাচ্ছে যে যত হিংসার ডাক দিচ্ছে সে তত বিরোধীশূন্য করতে পারছে। এবং তার সঙ্গে অর্থনীতির একটা কারণ আছে। পশ্চিমবঙ্গে বিরাট সংখ্যক মানুষ কর্মহীন, যাঁরা রাজনীতির ওপর নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবন চালায়। স্থানীয় স্তরে দেখা যায় কাউন্সিলরের সঙ্গে ৩০-৪০ জন ঘুরছে। এঁরা কি এমনিই ঘুরছে?

প্রশ্ন- আগেও তো হিংসা ছিল রাজনীতিতে……

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- ৭০ এর দশকে হিংসা কি ছিল না? ছিল। তখন একটা আদর্শগত অবস্থান থেকে ছিল। আজ কিন্ত আদর্শগত অবস্থান থেকে হিংসা হচ্ছে না। বড় অংশ রুটি রোজগারের সঙ্গে যুক্ত। আমার আর্থিক উপার্জন করতে হবে। সেই কারণে আমি রাজনীতি করি। সেই কারণে ভায়োলেন্স থেকে দ্রুততার সঙ্গে ফল পেতে পারি। জয়ের যে কষ্ট, হিংসার মাধ্যমে সহজেই তা পকেটস্থ করতে পারি। ফলে হিংসা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে।

প্রশ্ন- হিংসায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা…..

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- পুলিশ ও প্রশাসন যখন যে শাসন করছে তার দাস হয়ে কাজ করছে। যাকে নিরপেক্ষ অবস্থানে বা আম্পেয়ারের ভূমিকায় থাকার কথা সেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন কমিশন তাঁরাও কিন্তু ফেল করছে এই বিষয়ে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। আইনগত সমস্যা আছে। তাঁদের ইচ্ছাশক্তিটাও থাকে না। যেহেতু রাজনৈতিক নিয়োগ ঘটে। সব মিলিয়ে ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হিংসা এখনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত নতুন করে আদর্শগত লড়াই আসবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আদর্শগত নেতৃত্ব তৈরি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পশ্চিমবাংলার মানুষের হিংসা থেকে মুক্তি নেই।

প্রশ্ন- নির্বাচনের সময় ওয়েব ক্যাম থাকে, ভিডিওগ্রাফি হয় তার মধ্যেও কিন্তু হিংসা বাদ পড়ে না। কিন্তু কঠোর পদক্ষেপ চোখে পড়ে না, কেন?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- এই যে ওয়েব ক্যাম, বিভিন্ন রকম সাজসরঞ্জাম বা পন্থা দেখা যায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সবই তো মানুষ পরিচালনা করে। অর্থাৎ হিউম্যান ফ্যাক্টর। ওয়েব ক্যামে দেখা যাচ্ছে যে জাল ভোট পড়ছে। যে দেখবে তাঁর চোখটা ঠিক আছে তো? যিনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি নিরপেক্ষ তো? শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা কর্মপদ্ধতির পিছনে কিন্তু হিউম্যান ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিউম্যান ফ্যাক্টরটাই আজ প্রশ্নের সম্মুখীন।

প্রশ্ন- বামেদের শাসনকাল থেকে প্রশাসনিক পদস্খলন কি এখন বেশি?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- বামেদের শাসনে ১৯৯০-র পর থেকে এক একটা নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁরা হিংসার আশ্রয় নিয়েছে, ভয়-সন্ত্রস্ত করেছে। তার মধ্যমে বিরোধীশূন্য রাজনীতির কিছু পাঠ শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছে। বামেদের শাসনকালে ৪৪টি ব্লকে কম বেশি হিংসা হত। যেমন কেশপুর, গোঘাট। সেখানে তৃণমূল শাসনে ১১১টা ব্লক পাচ্ছি। বামেদের সময় হিংসাটা ছিল, এখন গ্রাম ছাড়িয়ে শহরে হিংসা ঢুকেছে। নিকটবর্তী শহরের নির্বাচনেও বোম-গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করায় হিংসার ব্যাপকতা তৈরি হচ্ছে।

প্রশ্ন- গ্রামে রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরও আবাস যোজনার তালিকায় নাম। মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়লেও কিন্তু ভোট বাক্সে এসবের কোনও প্রতিফলন নেই। কেন?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- পশ্চিমবঙ্গে কখনও পরিচয় সত্ত্বার রাজনীতি ছিল না। এখানে বিরোধী শক্তি হিসাবে বিজেপির ২০১৬-এর উত্থানের পর থেকে। কার্যত পশ্চিমবাংলার রাজনীতিটা হিন্দু-মুসলিমের রাজনীতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ২ টো অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল কংগ্রেস পাচ্ছে। প্রথমত, বিজেপি জুজুটাকে সামনে রেখে মুসলিম ভোটটাকে নিশ্চিত করছে। যেহেতু ২০১১ সালের পরে কোনও সেন্সাসের তথ্য আমাদের কাছে নেই। সমীক্ষার কাজে দেখেছি আমাদের এই রাজ্যে এখন ৩৫-৩৬ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা আছে। যে তিনটে জেলা মুসলিম প্রধান ছিল মালদা, মুর্শিদাবাদ, উফত্তর দিনাজপুর এখন কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং বীরভূম খুবই কাছাকাছি চলছে হিন্দু-মুসলমান অনুপাত। বিজেপি আতঙ্ক মুসলিমদের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ করেছে। লক্ষ্মীশ্রীসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বেনিফিট শাসকদল পাচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিরোধী শূন্য করার রাজনীতি। এই তিনের মিশেলকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা বাম, বিজেপি বা কংগ্রেস কারও নেই। ফলে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভোটে নিয়ে যাওয়ার কোনও দল নেই। একটা বিরাট সংখ্যাক মুসলিমকে বাদ দিয়ে পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে পটপরির্তন বিজেপির পক্ষে একা সম্ভব হবে কিনা আমার সন্দেহ থাকল। বিজেপি ১২০-২৫ আসন পেয়ে সরকার ভেঙে দিতে পারে কিন্তু একক ক্ষমতায় সরকার আসবে সেটা খুবই কঠিন। আসবে না বলছি না তবে কঠিন।

প্রশ্ন- মমতার বিকল্প মুখ…….

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প একটা মুখ পশ্চিম বাংলায় কিন্তু বড় আকাল। এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলেন তার সমালোচনা একাংশ করলেও আপামর জনগণের মধ্যে কানক্টিভিটির প্রশ্নে তাঁর ধারে-কাছে কেউ নেই। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভোট চান তখন ভোট ভিক্ষা করেন। তিনি বলেন, দেখ মা, বাবা তোমরা এত দূর থেকে এসেছো আমার জন্য এক কষ্ট করছো। তোমাদের পায়ের চরণও ধরি। শেষ পর্যন্ত তিনি ভোট ভিক্ষা চাইছেন। অন্য দিকে বিজেপি নেতৃত্ব বলছিলেন আপনাদের জেতাতে হবে। আপনাদের ভোট দিতে হবে। আপনাদের তৃণমূলকে হারাতে হবে। একটা দাবি করছেন। ভোটের ভিক্ষা আর ভোটের দাবির মধ্যে বিজেপি নেতৃত্ব বা সিপিএমের নেতারা বোঝেননি।

প্রশ্ন- আগে মুসলিম ভোট ব্যাংক ছিল। এখন দলিত, মহিলা ভোট ব্যাংক। ভোট ব্য়াংকের ভাগাভাগি কিভাবে দেখছেন?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- এটাই আইডেন্টিটি পলিটিক্সের সব থেকে বড় উপাদান। যখন বৃহত্তম আইডেন্টিটিতে কাজ হবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৫৪ জন। তারপরেও বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কারণ মুসলিম ভোটটা একতরফা তৃণমূল পেয়েছে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৬ জন মুসলিম তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। বিজেপি হিন্দু ভোটের পোলারাইজেশন করলেও তার থেকে কয়েকগুন বেশি মুসলিম ভোট পোলারাইজেশন করতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল হিন্দুদের ভোটও আলাদা করে ভাগ করতে চাইছে। বিভিন্ন প্রকল্প করছে। আইডেন্টিটি পলিটিক্স আগুনের মতো। বহু ভাবনার দেশে পরিচয় সত্ত্বার রাজনীতি ভয়ানক। স্বাধীনতার পর শ্রেণি রাজনীতি ছিল।

প্রশ্ন- বাম-কংগ্রেসের কি এই কারণেই হাল খারাপ হচ্ছে?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- এই কারণে এরা জায়গা পাচ্ছে না। এখনও রাজ্যে বামেদের পার্টি সংগঠন আছে তৃণমূলের পরেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ নেই। তাঁরা এখন হিন্দু ও মুসলমানের রাজনীতিতে যুক্ত। কেউ আদিবাসী, কেউ তপশিলি রাজনীতি করছে, কেউ গোর্খা কেউ রাজবংশী রাজনীতি করছে। এই রাজনীতির ফলে বামেদের আপিল করার জায়গাও কমে যাচ্ছে। বামেদের প্রতি আগ্রহ থাকছে না। বাম ছেলেরা ভাল কাজ করেছিল। কিন্তু মানুষ কোথায়। পরিচয় সত্ত্বার রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে।

প্রশ্ন- বাম-কংগ্রেসের কোনও সম্ভাবনা আছে?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে যদি কোনও পটপরিবর্তন হয় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের থ্রেট আসে তা বাম-কংগ্রেসের থেকেই আসবে। কারণ হচ্ছে এর তিন চারটে জায়গা আছে। হিন্দু ভোটের পোলারাইজেশন যেমন বিজেপির আছে তেমনই মুসলিম ভোটের পোলারাইজেশন মমতার হাতেই আছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরে মুসলিম ভোট বাম-কংগ্রেসের থাকলে পটপরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা তৈরি করবে। বাম-কংগ্রেস জোট রাজ্য রাজনীতিতে তিন নম্বর দল হিসাবে শক্তি নিয়ে গুরুত্ব পেতে পারে।

প্রশ্ন- তৃণমূলে মমতা-অভিষেক, দলে দুই পন্থী। নতুন তৃণমূল বললেও পুরনোদের নিয়েই তো দল চলছে।

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- গত একবছরে আমার রেটিং হল আমি এখনও বলব ওল্ড ইজ গোল্ড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনার মধ্যে যতটুকু মূল্যবোধ আছে, পুরনো রাজনীতিটা করেন। নতুন তৃণমূল কর্পোরেট স্টাইলে চলতে পারে, পার্টি সংগঠন মজবুত করতে পারে। কিন্তু মূল্যবোধের প্রশ্নে আমি মমতাকে এক হাজার গুন এগিয়ে রাখব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের থেকে। জনপ্রিয়তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প এই মুহূর্তে এরাজ্যে কেউ নেই।

প্রশ্ন- ২৪-এ মোদি ক্যারিশ্মা কাজ করবে?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দুটি রাজনৈতিক দল মোদী বিকল্প শক্তি দানা বাধতে দিচ্ছে না। এক তৃণমূল কংগ্রেস, দুই আম আদমি পার্টি। তারা কোনও জোট হতে দিচ্ছে না। এই দুটো পার্টি বিরোধী পরিসর দখল করার নাম করে যে রাজনীতি করছে সেটা হল মোদীকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার জন্য এই কাজটা করছে। আপ বা তৃণমূলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বিজেপিকে হারানো নয়, তাদের কাছে এটা গুরুত্ব পাচ্ছে আগে কংগ্রেসের পরিসর দখল করা। বিজেপিকে পরে দেখব। বিরোধী জোট হওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল ও আপ অন্যতম অন্তরায়। এদের কল্যানে মোদী তৃতীয়বারে জন্য ক্ষমতায় আসতে পারে।

প্রশ্ন- ছাত্র ভোট দীর্ঘ দিন বন্ধ।

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- এটা খুব দুঃখের। পশ্চিমবঙ্গের সমাজটাই মারা গিয়েছে। রাজনীতিতে ছাত্ররা নেই অথচ সমাজ থেকে কোনও বক্তব্য নেই। একটা দেশের ছাত্র রাজনীতির মধ্য থেকে মমতা, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারাী ছাত্র রাজনীতির মধ্য থেকে উঠেছে। নিজেরা ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশ বা রাজ্যে রাজনীতিতে ঢুকল। আর তাঁদের সময়ে ছাত্রদের রাজনীতি থেকে বিমুখ করে রাখছে। এটা চূড়ান্ত অগনান্ত্রিক।

প্রশ্ন- মোদী-মমতার কোনও গট-আপ আছে?

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী- নরেন্দ্র মোদী চাইবে ২৪-এ তৃতীয়বারের জন্য ইতিহাস তৈরি করতে। তাহলে বিরোধীদের মধ্যে অনৈক্য তৈরি করতে হবে। তার জন্য মমতা ও কেজরিওয়ালকে একেবারে চূড়ান্ত ভাবে আঘাত করতে চান না। অমিত শা চাওয়া সত্বেও আইএএস আইপিএস সংশোধন বিল পাশ হল না লোকসভায়। মমতা চিঠি লিখে পাঠানোয়, কেজরিওয়ালও একই অবস্থান নিয়েছেন তাই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে বিল পেশ করা হল না। বিচরপতিরা বলছে মাথা পর্যন্ত কেন আসছে না। পার্থ পর্যন্ত গিয়ে সিবিআই বা ইডির তদন্ত আটকে যাচ্ছে। মাথাটা কে সেই উত্তর থেকেই যায়।

tmc bjp CONGRESS Mamata Banerjee CPIM west bengal politics modi Suvendu Adhikari
Advertisment