লোকসভা ভোট যত এগোচ্ছে গেরুয়া দলে গোষ্ঠী কোন্দল কি ততই বাড়ছে? অনন্ত রাঢ়বঙ্গের এক জেলায় বিজেপিতে কোন্দল যে বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। এর আগে খোদ বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ ঠাকুরকে দলেরই কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন বিজেপির একাংশের কর্মীরা। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে মন্ত্রীকে উদ্ধার করে। এবার দলেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। সেই পোস্টারে যা লেখা তা ঘিরে জেলাজুড়ে চর্চা তুঙ্গে।
সৌমিত্র খাঁয়ের নামে লাগানো পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাসংদ সৌমিত্র খাঁ। এবার তাঁরই সংসদীয় এলাকায় তাঁর নামে 'চোর' লেখা পোস্টার পড়েছে। 'চোর সৌমিত্র খাঁ দূর হঠো', শীর্ষক পোস্টার পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এমনকী সৌমিত্র খাঁয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া জেলায় গেরুয়া রাজনীতি ফের একবার জলঘোলা শুরু।
এদিকে, দলের সাংসদের নামে এমন পোস্টার লাগানোর পিছনে শাসকদল তৃণমূলকেই দায়ী করছেন বিজেপি নেতারা। যদিও বিজেপির তোলা এই অভিযোগ উড়িয়েছে জোড়াফুল। বাঁকুড়া জেলায় দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। দিন কয়েক আগেই নিজের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে। বাঁকুড়ায় দলের কার্যালয়ের একটি ঘরে তাঁকে তালাবন্দি করে রেখে দেন দলেরই একাংশের কর্মীরা।
আরও পড়ুন- রাজভবনে ‘নজরদারি’ রাজ্যের? মারাত্মক অভিযোগে কঠিন পদক্ষেপ রাজ্যপালের!
জেলায় নিজের ইচ্ছেমতো দল পরিচালনা করছেন সুভাষ ঠাকুর, এমনই অভিযোগে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির কর্মীরা। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে তালা খুলে উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। সুভাষ সরকারের পর এবার সেই বাঁকুড়াতেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধেও অসন্তোষের একই ছবি সামনে এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে যা ঘিরে জেলা বিজেপিতে চর্চা-জল্পনা বাড়ছে। যদিও এব্যাপারে সৌমিত্র খাঁয়ের তরফে প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।