/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/cats-2025-08-20-19-10-35.jpg)
মণ্ডপে মণ্ডপে গণেশ যাবেন! ভালো বায়নার খুশিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন মৃৎশিল্পীরা
Ganesh Puja: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে গণেশ পুজো অন্যতম। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা, তারপরই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হবে গণেশ চতুর্থীর উৎসব।
এই উৎসবকে ঘিরে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি চলছে রাজ্যজুড়ে। তবে উৎসবের এই মেজাজ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের খাড় গ্রামে। এখানকার মৃৎশিল্পীরা এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর প্রতিমার বায়না অনেক বেশি এসেছে। ফলে কাজের চাপ বাড়লেও শিল্পীদের মুখে দেখা যাচ্ছে একরাশ হাসি। ক্লান্তি তাঁদের কাছে হার মেনেছে, কারণ ভালো বায়নার সুবাদে এইবার পুজোয় ছেলেমেয়েদের জন্য বেশি উপহার কেনা যাবে।
খাড় গ্রামে এখন সকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। মৃৎশিল্পীদের ঘরে ঘরে চলছে প্রতিমার বাঁশ-খড় বাঁধা, মাটির আস্তরণ দেওয়া, শুকোনো ও রঙের কাজ। বায়না বেশি থাকায় প্রায় প্রত্যেক শিল্পীর বাড়িতে একাধিক প্রতিমা তৈরি হচ্ছে একসঙ্গে।
কাজের চাপ এতটাই বেশি যে নাওয়া খাওয়া ভুলে যাচ্ছেন শিল্পীরা। দিনে তিনবেলা খাওয়ার বদলে অনেক সময় একবেলা খেয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর আগে প্রতিমাগুলো সময়মতো পৌঁছে দিতে হবে বলেই এই নিরলস পরিশ্রম।
শিল্পীদের এই ব্যস্ততার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আশা ও সন্তুষ্টি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার বায়না অনেক বেশি। ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বস্তি মিলবে বলেই মনে করছেন শিল্পীরা।
একইসঙ্গে তাঁদের সৃজনশীল প্রতিভাও এভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। প্রতিটি প্রতিমার খুঁটিনাটিতে তাঁরা মনোযোগ দিচ্ছেন, যাতে দর্শনার্থীদের কাছে পুজোর আনন্দ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কাজের চাপ থাকলেও সেই চাপের মধ্যেই ফুটে উঠছে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা ও এক ধরনের গর্বের অনুভূতি।
গণেশ পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে খাড় গ্রামের মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা। প্রতিমা সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার তাগিদে রাতদিন এক করে চলছে কাজ। তবু এই ব্যস্ততার মাঝেই মুখে খুশির হাসি ফুটে উঠছে বারবার। কারণ এবছর ভালো বায়না তাঁদের জীবনে এনেছে নতুন আশা।
গণেশ পুজোয় ভাগ্য ফিরল পটাশপুরের মৃৎশিল্পীদের! ভালো বায়নার খুশিতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন শিল্পীরা। মণ্ডপে মণ্ডপে গণেশ যাবেন, তার আগে খুশির ঢেউ পটাশপুরের খাড় গ্রামে! বায়না ভালো আসায় ব্যস্ততা তুঙ্গে।