Poush Sankranti: সোনালী অতীত বুকে আগলে এগাঁয়ের বধূরা! নিদারুণ নৈপুণ্যতায় জমে ক্ষীর পৌষ-পার্বণ!

Makar Sankranti: পৌষ সংক্রান্তিতে বাংলার ঘরে-ঘরে পিঠে-পুলি তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। তবে কালের নিয়মে এখন পিঠে-পুলি তৈরিতেও নানা বদল এসেছে। তবে বাংলার এপ্রান্তে আজও পিঠে তৈরিতে পুরনো নিয়মেই ভরসা রেখেছেন মহিলারা। এই আবহে তাঁদের বাড়তি কিছু রোজগারও হচ্ছে।

IE Bangla Web Desk & Nilotpal Sil
New Update
Poush Sankranti Makar Sankranti Pithe Puli Dhenki

Dhenki: বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার এই মহিলারা আজও পুরনো রেওয়াজই আঁকড়ে রয়েছেন।

Dhenki: কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে। তবে সেই সবই এখন গল্পকথা। ইদানিং যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে চলায় ঢেঁকির কদর অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তবুও এই রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের কিছু মানুষ সাবেকি ঢেঁকিকে এখনও আগলে রেখেছেন। পৌষ মাস শুরু হলে পিঠে-পুলির চাল কোটার জন্যে সেই সাবেকি ঢেঁকির কদর বেড়ে যায়। তা থেকে একটু হলেও আয়ের পথ খুঁজে পান গ্রামের মহিলারা।

Advertisment

যেমনটা এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) । এই জেলার রায়না, খণ্ডঘোষ ও জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামগুলির মহিলারা পৌষ পার্বণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঢেঁকিতে চাল কোটার কাজে। পৌষের সংক্রান্তির (Poush Sankranti) লগ্নে ওই সব গ্রামে এখন কান পাতলেই শুধু ভেসে আসছে ঢেঁকিতে চাল কোটার শব্দ।

এক সময় পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রামবাংলার মহিলারা ঘরে-ঘরে ঢেঁকিতে চাল কোটা শুরু করে দিতেন। ঢেঁকিতে ভাঙা চাল গুঁড়িয়ে তা দিয়েই তাঁরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পিঠে-পুলি। কিন্তু যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে চলায় ঢেঁকি এখন মিউজিয়ামে জায়গা পাওয়ার জোগাড়। ঢেঁকি ছেড়ে গ্রাম বাংলার অনেকেই এখন চাল গুঁড়ানোর মিলে পৌঁছে যাচ্ছেন। তবে তারই মধ্যে বেশ কিছু গ্রামের মানুষ এখনও পরম্পরা বজায় রেখে বাড়ির সাবেকি ঢেঁকিকে আগলে রেখেছেন।

আরও পড়ুন- Digha: মকর সংক্রান্তিতে অভূতপূর্ব দৃশ্য দিঘায়! সমুদ্রনগরীর এমন আশ্চর্য্য রূপের চর্চা তুঙ্গে!

Advertisment
publive-image

ঢেঁকি ছাটার কাজে ব্যস্ত মহিলারা।

যেমনটা আগলে রেখেছেন জামালপুরের (Jamalpur) শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মানুষজন। তাঁরা চান না গম ভাঙানোর যন্ত্রে পিঠে-পুলির চালের গুঁড়ো তৈরি করতে। শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা প্রতিবছরের মতো এ বছরেও তাই ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ো দিয়ে পৌষ পার্বণে পিঠে-পুলি তৈরি করছেন। এরই পাশাপাশি নিজেদের ঢেঁকিতে অন্যের চাল গুঁড়িয়ে দিয়ে সামান্য কিছু হলেও উপার্জন করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- Shantiniketan:অভূতপূর্ব তৎপরতা! কোপাই বাঁচাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সাড়াজাগানো প্রয়াস চর্চায়!

গ্রামের বধূ কাকলী কোলের কথায়, “ঢেঁকিতে ছাঁটা চালের গুঁড়ি দিয়ে বানানো পিঠে-পুলির স্বাদটাই আলাদা। আর ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল অনেকদিন ধরে রেখেও দেওয়া যায়।" অন্য এক গৃহবধূ কল্পনা কোলে বলেন, "আমাদের শিয়ালী গ্রামে এখন একটি মাত্রই ঢেঁকি রয়েছে। পৌষ পার্বণের আগে সেই ঢেঁকিতে চাল ভাঙাতে আসেন গ্রামের অনেক মহিলা। উপার্জনের আশায় পৌষে ঢেঁকিতে চাল ভাঙানোর কাজে ঢেঁকির মালিক পরিবারের পুরুষরাও মহিলাদের সঙ্গে হাত লাগান।" খেজুর গুড়ের সঙ্গে ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে তৈরি পিঠে-পুলি আগামী কয়েকদিন বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এক ভিন্য মহিমায় পৌছে দেয় বলে মনে করেন শিয়ালী ও কোড়া গ্রামের মহিলারা।

West Bengal Purba Bardhaman Makar Sankranti Dhenki