লকডাউনে ঘরবন্দি ভারত। তবে, মহেশতলার ব্রাইট টেলার্সে গেলে ছবিটা একেবারে অন্যরকম। নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রায় পাঁচশ শ্রমিক এখানে 'পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট' বা পিপিই বানানোর কাজ করে চলেছেন। করোনা চিকিৎসায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই পিপিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তন্তজকে পিপিই বানানোর বরাত দিয়েছে। পরে রাজ্যের আওতাধীন এই সংস্থা ব্রাইট টেলার্সকে পিপিই তৈরির নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই লকডাউনে ব্যস্ততা বেড়েছে।
ব্রাইট টেলার্সের কর্ণধার আশরাফ আলি বলেন, 'আমরা সাধারণত উনিফর্ম তৈরি করি। তবে, পিপিই-র বরাত মেলায় এখন সেটাই তৈরি করছি। ইতিমধ্যেই যন্ত্রপাতি পুনর্গঠন করেছি। পিপিই বানানোর মাল আসে দুর্গাপুর, আসানশোল, হাওড়া থেকে। এইসব দোকানদারদেরও মাল যোগান দিতে বলা হয়েছে। প্রথমদিকে সামান্য অসুবিধা হলেও এখন পিপিই কিভাবে কাটতে হয় তা শিখে নিয়েছি।'
আরও পড়ুন- করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই অনুকরণীয়: মোদী
পিপিই কিট ছাড়াই স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক জায়গায় কাজ করছেন বলে খবর আসে। কেন্দ্রের কাছে বার বার চেয়েও পর্যাপ্ত পিপিই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই নবান্নের পক্ষ থেকে তন্তুজকে ১০ লক্ষ পিপিই তৈরির বরাত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- লকডাউনে মুশকিল আসান, বাড়ি বাড়ি স্যানিটারি প্যাড পৌঁছচ্ছে এসএফআই
আশরাফ আলির কথায়, 'প্রথমে কম করে মাল তৈরি হচ্ছিল। দিনে মাক্র ৫০ থেকে ৬০০ কিট বানাচ্ছিলাম। এখন সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,০০০। খুব তাড়াতাড়ি আমরা দিনে ২৫০০০ করে পিপিই কিট বানাবো।' ৫০০ কর্মীর পক্ষে কী সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে? আলি বলেন, 'যথাসম্ভব নিয়ম মেনেই সব কাজ চলছে। সংক্রমণ এড়াতে শ্রমিকরাও পিপিই পড়েই কাজ করছেন।'
কলকাতা লাগোয়া বেশ কয়েকটি জেলার হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনের তুলনায় মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার অনেক কম। তাই ঝুঁকি এড়াতে সে সবের ব্যবস্থা তাঁদের নিজেদেরই করতে হচ্ছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে চিকিৎসক, নার্সদের মধ্যে। সরকারি হাসপাতালেও পিপিই-র দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন