কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি! সেই বাঙালির পাতে সারা বছর মাছ তুলে দিতে সচেষ্ট মৎস্য দফতর। প্রজননের সময়ে দু'মাস নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। দু'মাসের এই ‘ব্যান-পিরিয়ড’-এ সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরতে না পারছেন না মৎস্যজীবীরা। জোগান কম থাকায় দিঘার মার্কেটে বেড়েই চলেছে মাছের দাম।
বেড়েই চলেছে মাছের দাম। চড়া দামে মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। এদিকে জালে উঠছে না ইলিশও। যাও বা কালেভদ্রে ইলিশ মিলছে তাতে আবার হাত দিতে পারছেন না আমজনতা। দামের ছ্যাঁকায় পুড়ছে হাত। সামুদ্রিক মাছ বাজারে না আসায় ঝিল, ফিসারি, পুকুরের মাছ আসছে মাছের বাজারে।
আরও পড়ুন- বিজেপিকে রুখতে মমতার দুয়ারে কেজরিওয়াল, আজ নবান্নে নয়া ফর্মুলায় জোট নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা
বাজারে মাছ কম থাকায় দাম বেড়েই চলেছে। মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন ক্রেতারা সমস্যায় পড়েছেন ঠিক তেমনই বিক্রেতারাও অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ এলে কম দামে বিক্রি করা যেত, কিন্তু সামুদ্রিক মাছ না আসায় পুকুরের পোনা, কাতলা, শোল প্রভৃতি মাছ বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেড়েছে। ক্রেতারাও পরিমাণে কম মাছ কিনছেন।
জেলা মৎস্য আধিকারিক সুমন সাহু জানান, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এই সময়ে মাছেরা প্রজনন ঘটায়। তার জেরেই মাছ ধরার ব্যাপারে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।