/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/20/hilsa-fish-2025-06-20-11-28-22.jpg)
hilsa supply: প্রতীকী ছবি।
Ilish: রাজ্যজুড়ে পুরোদমে বর্ষা নেমেছে। আর ভরা বর্ষায় সাধের ইলিশ নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও চূড়ান্ত মাতামাতি ভোজনরসিক বাঙালির। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের ঘাটগুলিতে ঢুকতে শুরু করেছে ইলিশ। টন টন ইলিশ ঢুকছে সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, নামখানা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, তাজপুরের ঘাটগুলিতে।
ইলিশ বলতেই বাঙালির জিভে জল। ফি বারের মতো এবারও বর্ষা পড়তে না পড়তেই ইলিশ নিয়ে চর্চা বেড়েছে। শহর থেকে জেলা, মাছ বাজার ছেয়ে গিয়েছে ইলিশে। এবার মরশুমের শুরু থেকেই ইলিশ মাছের জোগান ভালো। মৎস্যজীবীরা মনে করছেন, বর্তমান আবহাওয়া ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে একেবারেই অনুকূলে রয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি এমনটাই থাকলে অল্প দিনের মধ্যেই আরও টন টন ইলিশ সমুদ্র থেকে উঠবে।
বুধবারই দিঘার মোহনায় মাছের আড়তে মরশুমের প্রথম ইলিশ ঢুকেছে। ওই দিন প্রায় ১৫ টন ইলিশ মাছ ঢুকেছে দিঘা মোহনায়। তবে শুরুর দিকে মাছের দাম একটু বেশি। দিঘা মোহনায় এখন ৬০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে ইলিশ মাছের বিক্রি হচ্ছে। মাছের ওজন ৫০০ থেকে দেড় কিলো পর্যন্ত। কোনও কোনও মাছের ওজন তারও একটু বেশি।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানার ঘাটগুলিতেও টন টন ইলিশ মাছ উঠছে। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, আগের বছর তেমন ভালো মাছ ওঠেনি। তবে এবার শুরু থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি ইলিশ মাছ ওঠার পক্ষে অনুকূলে রয়েছে। ইলিশ মাছ ওঠার জন্য যেমন আবহাওয়া থাকা দরকার এবার তা আছে। আবহাওয়া এমনই থাকলে এবং ইলিশ মাছের জোগান বাড়তে থাকলে দামও নাগালে থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুন- Success Story:দুরন্ত বিক্রমে 'বিশ্বজয়'! সুন্দরবনের রবীনের অনন্য কীর্তিতে বাংলার মুখ উজ্বল
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাজার গুলিতেও ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে। ৮০০ গ্রাম বেশি ওজনের মাছের দাম ১২০০ থেকে ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইলিশ মাছের জোগান আরও বাড়লে এই দাম আরও কমে যেতে পারে বলে আশাবাদী মাছ বিক্রেতারা।