টমেটোর দাম ১০০ টাকা হতেই সারা দেশ জুড়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন বাংলার বাজারে টমেটো তো ১৫০ টাকা কেজি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাকি সমস্ত সবজির দাম বেড়েই চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সবজির লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে বাজার পুড়ে খাক। বাজারে বিক্রেতারা পর্যাপ্ত সবজি রাখতে ভয় পাচ্ছে। অন্যদিকে, ক্রেতাদেরও ভাঁড়ে মা ভবানী। কাঁচা লঙ্কা ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, আদাও ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, পটল ৭০ টাকা কেজি, কুমড়ো ৪৫টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০-৬০টাকা কেজি। অনেক সবজির দোকানি কাঁচা লঙ্কা, আদাই রাখছেই না।
যেখানে ক্রেতারা কাঁচা লঙ্কা ২০০-৩০০ গ্রাম কিনতেন সেখানে এখন ৫০ গ্রামের বেশি অনেকেই নিচ্ছেন না। বললেন, বিক্রেতা আনন্দ রায়। আনন্দর কথায়, 'পাইকরি বাজারে সবজির যা দাম তাতে কেনার সাহস পাচ্ছি না। এত বেশি দামে ক্রেতারা কিনবে না। একেবারে বিক্রি কমে গিয়েছে। ৩০০ টাকার সবজি ব্যাগের কোনের দিকে পড়ে থাকছে। সবজির চড়া মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন- কোচবিহারে রাজ্যপাল, সাংবিধানিক প্রধানকে কাছে পেয়ে সাংঘাতিক অভিযোগ বিরোধীদের!
এদিকে, শাক-সবজির লাগামছাড়া দাম-বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে শনিবারই নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকতার পুলিশ কমিশনার, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। টাস্ক ফোর্সের এই বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, কলকাতা ও আশেপাশের বাজারের থেকে প্রতি কেজি ৫-১০ টাকা কম দামে সুফল বাংলার স্টোর থেকে শাক-সবজি বিক্রি করা হবে।
শনিবারের এই বৈঠক প্রসঙ্গে টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কোলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আগামী মঙ্গলবার আমরা সবজি মার্কেট পরিদর্শনে যাব। শিলায়লদহের কোলে মার্কেটে যাব। সুফল বাংলার স্টোর থেকে কম দামে সবজি বিক্রি হবে। ১০-১৫ শতাংশ কম দামে শাক সবজি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।'