বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা পর্ষদের। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। চাকরি হারানো শিক্ষকরাও দ্বারস্থ ডিভিশন বেঞ্চের। চাকরিহারাদের বক্তব্য না শুনে কীভাবে এই নির্দেশ? প্রশ্ন তুলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ পর্ষদ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগের পরীক্ষায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছিলেন ইন্টারভিউয়াররা। এরপরেই ওই নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে আরও উল্লেখ, আগামী চার মাস এই শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে পূর্ণ নয়, এঁরা বেতন পাবেন পার্শ্ব শিক্ষকের বেতনের হারে। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকের মুখ উজ্বল করলেন বঙ্গতনয়া! সোনার মেয়ের নজিরবিহীন কীর্তিকে কুর্ণিশ!
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামসা দায়েরের অনুমতি পেল পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চের কাছে পর্ষদের বক্তব্য হল, ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চাকরিহারাদের বক্তব্য শোনেননি। বক্তব্য না শুনে কীভাবে তিনি এই নির্দেশ দিলেন, সেব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন- ঝড়-বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে জেলার পর জেলা, আবহাওয়ায় মারকাটারি বদল কবে থেকে?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে আরও জানিয়েছিলেন, ৩৬ হাজার শিক্ষক ছাড়াও ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরাও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কারও বয়স পেরিয়ে গেলেও তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকেই এবার চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
আরও পড়ুন- ফের ‘গুন্ডাগিরি’ অ্যাম্বুলেন্স চালকের, মৃত শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে বাসে সওয়ার বাবা