skull cap Village: টুপির বাহারে বাজার মাত, বর্ধমানে ফেজ টুপি ক্রেজ আরব দুনিয়াতেও

skull cap Village: চলছে রামজান মাস। রোজা পর্ব মিটলেই খুশির ঈদ উৎসব পালনে মাতোয়ারা হবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই ঈদ উৎসবের দিকে তাকিয়ে এখন সদা ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের 'টুপি গ্রামের’ মহিলারা।

skull cap Village: চলছে রামজান মাস। রোজা পর্ব মিটলেই খুশির ঈদ উৎসব পালনে মাতোয়ারা হবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই ঈদ উৎসবের দিকে তাকিয়ে এখন সদা ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের 'টুপি গ্রামের’ মহিলারা।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
skull cap Village:

টুপির বাহারে বাজার মাত, বর্ধমানে ফেজ টুপি ক্রেজ আরব দুনিয়াতেও Photograph: (প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় )

skull cap Village:  চলছে রামজান মাস। রোজা পর্ব মিটলেই খুশির ঈদ উৎসব পালনে মাতোয়ারা হবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই ঈদ উৎসবের দিকে তাকিয়ে এখন সদা ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের 'টুপি গ্রামের’ মহিলারা। দিন রাত এক করে তাঁরা এখন তৈরি করে চলেছেন মুসলমানের ধর্মীয় প্রতীক টুপি। সূচীশিল্পে সমৃদ্ধ টুপি গ্রামের মহিলাদের তৈরি টুপির খ্যাতি এখন আর খণ্ডঘোষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে টুপি গ্রামে তৈরি টুপির খ্যাতি ।তবে
খ্যাতি বাড়লেও বাড়েনি রোজগার।তাই আক্ষেপের শেষ নেই টুপি তৈরিতে যুক্ত টুপি গ্রামের মহিলাদের। 

Advertisment

খণ্ডঘোষ ব্লকের খণ্ডঘোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা দুটি ছোট্ট গ্রাম হল কৈশোর ও আলিপুর।এই গ্রাম দুটি’ই "টুপি গ্রাম" নামে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।গ্রাম দুটির প্রায় প্রতিটি পরিবারের মহিলা প্রায় ৪০ বছর ধরে মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক টুপি তৈরি করে চলেছেন। তাঁদের তৈরি টুপিতে থাকে দর্শনদারী নকশা। সূচীশিল্পের নৈপুণ্যতাকে কাজে লাগিয়ে টুপি গ্রামের মহিলারা রিলের সুতো আর ক্রুসের সমন্বয়ে নানা অপরুপ কারুকার্জ ফুটিয়ে তোলেন টুপিতে। সেই কারুকার্যই নামাজের টুপির 'গ্ল্যামার' বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। সেই কারণেই  বেড়ে গিয়েছে টুপি গ্রামের মহিলাদের তৈরি টুপির খ্যাতি।শুধুমাত্র দেশের বাজারেই নয়,বাংলাদেশ, মুম্বই, ফুরফুরা শরীফ সহ আরব দুনিয়াতে এখন পাড়ি দেয় টুপি গ্রামের মহিলাদের হাতের কারুকার্যে  সমৃদ্ধ টুপি। 

টুপি তৈরিতে যুক্ত মর্জিনা বেগম,নুরজাহান শেখ, রেসমা খাতুন’রা জানান,সূচী শিল্পের নৈপুণ্যতাকে কাজে লাগিয়ে টূপিতে নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তোলার কাজ তাঁরা প্রায় ৪০ বছর ধরে করে  আসছেন। নিপুণ হাতে তাঁরা রিলের সুতো আর ক্রুসের সমন্বয়ে টুপিতে নানা দর্শনদারী কারুকার্য ফুটিয়ে তোলেন। এই কাজটা শুধু পরিশ্রমের নয়, সময়সাধ্যও বটে। এক একটি টুপি তৈরি করতে অনেকটা সময় লেগে গেলেও পারিশ্রমিক তেমন মেলে না । টুপি প্রতি পারিশ্রমিক মেলে মাত্র ১০৫ টাকা। সেটাও আবার নির্ভর করে টুপির নকশা ও আকারের উপর। 

আগুন জ্বলছে আউশগ্রামের জঙ্গলে, বিপন্ন বন্যপ্রাণ, উদ্ভিদকূল! আশঙ্কায় বাসিন্দারা

Advertisment

টুপি তৈরিতে যুক্ত মহিলারা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি টুপির খ্যাতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা যে তিমিরে পড়ে ছিলেন সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছেন।তাঁদের জীবনে কোন শ্রীবৃদ্ধি ঘটে নি। মর্জিনা বেগম ও রেশমা খাতুন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন,“ আমরা যাঁরা যাঁরা টুপি তৈরিতে যুক্ত তাঁরা সরকারি সাহায্যের জন্য প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় নি ।আজ অবধি আমাদের জন্য কোনো সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয় নি। মেলে নি কোন  আর্থিক অনুদান বা সহায়তা। যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা মিলতো তা হলে তাঁদের হাতে তৈরি এই শিল্প কাজ আরও প্রসারিত হত ,অনেকের কর্মসংস্থানও হত। সাথে  সাথে টুপি তৈরির মজুরীও বাড়তো।কোন কিছুই না হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরই মানাফা লাভ করে চলেছেন ।  এই অবস্থার অবসান চাইছেন টুপি তৈরিতে যুক্ত সুদিন ফেরার প্রত্যাশা নিয়ে টুপি গ্রামের মহিলারা এখনও প্রশাসনের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছেন।
 

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম খণ্ডঘোষের বাসিন্দা।মুসলমানদের টুপি তৈরিতে যুক্ত মহিলাদের সকল দাবিকেই ন্যায় সঙ্গত বলে মেনে নিয়েছেন অপার্থিব বাবু । তিনি জানান, দাবির বিষয়গুলি তিনি জেলা ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মহলে জানাবেন। তাতে নিশ্চই কিছু একটা সুরাহার ব্যবস্থা হবে বলে অপার্থিব ইসলাম আশা প্রকাশ করেছেন। 

burdwan eid