কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার নেপথ্য কারিগর তিনি-ই। কিন্তু তাঁকেই নাকি কৃতিত্ব না দিয়ে নিজে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবারের জন্যেও এই বিরাট কর্মকাণ্ডের জন্য নাম নেননি অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতার। এমনকী কৃতিত্ব দিতে চাননি সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের প্রাক্তন অধিকর্তার।
তবে বৃহস্পতিবার সকালেও যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে বিতর্ক থামছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতিত্ব-চোর বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে, সেদিনই ইউনেস্কো-কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মঞ্চে সেই তপতীদেবীকেই সংবর্ধনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরীয় পরিয়ে দুর্গাপ্রতিমার রেপ্লিকা উপহার দিয়ে করজোড়ে নমস্কার জানালেন। তা-ও বিতর্ক কমছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার নতুন করে বিতর্ক, চাপে পড়েই নাকি মুখ্যমন্ত্রী সম্মান জানাতে বাধ্য হয়েছেন তপতীদেবীকে। এরই মধ্যে মুখ খুললেন তপতী গুহঠাকুরতা।
কী বললেন ইতিহাসবিদ?
বিতর্ক নিয়ে তপতীদেবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমার স্বীকৃতি অন্য কেউ বা মুখ্যমন্ত্রী কেড়ে নিয়েছেন এটা ঠিক নয়। এখানে ব্যক্তিগত কৃতিত্বের কোনও ভূমিকা নেই। এই সম্মান পাওয়ার নেপথ্যে সমষ্টিগত প্রয়াস কাজ করেছে। থিম মেকার, পুজো উদ্যোক্তা, প্যান্ডেল শিল্পী, প্রতিমা শিল্পী সকলের নিরলস পরিশ্রম জড়িত। সরকারেরও ভূমিকা আছে। কারণ সরকার এটাকে একটা দিশায় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।"
আরও পড়ুন হেরিটেজ সম্মানের কৃতিত্ব কার? বিতর্কে জল ঢেলে অধ্যাপিকা তপতীকে সংবর্ধনা মমতার
তিনি আরও বলেন, "আমি আমার কাজ করেছি। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে বিতর্ক হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। সেখানে আমার সমন্ধে বহু তথ্য ভুল দেওয়া হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি এই কাজের শুরুতে যাইনি। আইএএস আধিকারিক অত্রি ভট্টাচার্য পর্যন্ত গিয়েছিলাম কাজের জন্য। সেটা হয়েও গিয়েছিল। অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে কেন জানি না।"
আরও পড়ুন UNESCO-কে স্যালুট মুখ্যমন্ত্রীর, রাজকীয় সংবর্ধনার পর পুজোয় বাংলায় আমন্ত্রণ
বিষয়টি নিয়ে বাম এবং বিজেপির তরফে বিতর্ক উস্কে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলছে মুখ্যমন্ত্রী কৃতিত্ব-চুরি করেছেন। অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতাকে তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসাবে প্রাপ্য সম্মান দেননি। তবে দিনের শেষ সব বিতর্কে জল ঢেলে দিলেন তপতীদেবী নিজেই।