বৃহস্পতির পর শুত্রবারও বিক্ষোভ দেখা গেল হাওড়ায়। গতকাল নূপুর শর্মাদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছিল অঙ্কুরহাটি ও সংলগ্ন এলাকায়। ১১৬ নং জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘন্টার উপর অবরুদ্ধ ছিল। এ দিন দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তাল হয় ধুলাগড় অঞ্চল। নানা জায়গা থেকে মিছিল বের হয়। পুলিশ অবরোধ-বিক্ষোভ তুলতে গেলে তাদের উপরও চলে ইটবৃষ্টি, পাথর নিক্ষেপ। পুলিশের গাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনতে পুলিশও লাঠিচার্জ করে।
পরগম্বরকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলেছেন নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালরা। উত্তাল দেশ। বিজেশে মুখ পুড়েছে ভারতের। বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নূপুর, নবীনরা। কিন্তু, এই ঘটনার রেশ কাটছে না। বৃহস্পতিবার ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সংগঠনের নেতৃত্বে ১১৬ নং জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘন্টা অবরুদ্ধ করা হয়। নাকাল হন বহু মানুষ। আটকে পড়ে শয়ে শয়ে গাড়ি।
আরও পড়ুন- পয়গম্বরকে অসম্মান: জুম্মার নমাজ শেষে তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি-কলকাতা
বিকেল পর্যন্ত এই অবস্থা দেখে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিল্লির ঘটনার জন্য কেন বাংলায় অবরোধ আন্দোলন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
এর প্রায় চার সাড়ে-চার ঘন্টা পর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ ওঠে। তবে, তার আগে টায়ার জ্বালিয়ে, মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলে।
এ দিন সকালে নূপুরদের গ্রেফতারির দাবিতে পার্ক সার্কাসে প্ল্যাকার্ড হাতে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মুসলমান সম্প্রদায়ের একদল মানুষ। ধুলাগড়েও দুপুরের পর আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমেই যা তাণ্ডবে পরিণত হয়েছে।