মিড ডে মিলের রাঁধুনির প্রেমে নাকি হাবুডুবু খাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের একাংশ। তারই জেরে স্কুলে ব্যাহত হয় পঠনপাঠন, মিড ডে মিলের রান্নাও ছিল বন্ধ। প্রধান শিক্ষক ও রাঁধুনিকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নারায়ণপুর তৃতীয়ঘেরির বিজয় মহেশ্বরী প্রাইমারি স্কুল। স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মিড-ডে মিলের রাঁধুনির বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। তারই জেরে স্কুলে ব্যহত হচ্ছে পঠনপাঠন। এমনকী মিড-ডে মিলের রান্নাও ঠিক মতো হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন- আরও নামল পারদ, হাড় কাঁপিয়েই ঠান্ডার বিদায়? কী বলছে হাওয়া অফিস?
প্রধান শিক্ষক ও রাঁধুনিকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। অভিভাবকদের কয়েকজন ও এলাকাবাসীর একাংশ তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্কুলের সামনে। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলের পড়াশোনা ও মিড ডে মিলের রান্না। শেষমেশ খবর পেয়ে নামখানার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃণালকান্তি দাস স্কুলে আসেন। তিনি প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকেও বসেন।
বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ প্রধান শিক্ষক স্কুলে ঠিকমতো ক্লাসও নেন না। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্কুল শুরুর অনেক আগে স্কুলে ঢুকে পড়েন। স্কুলেই তিনি স্নান সেরে নেন। কোনও অভিভাবক বাচ্চাদের সকাল ১১টার আগে স্কুলে নিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক নাকি বকাবকি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- আনন্দে ‘মাতাল’ হবে মনের মানুষ, অসাধারণ এপ্রান্তে বেড়ানোর ৩২ আনা মজা নিন
কয়েকজন অভিভাবকের আরও অভিযোগ, স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিড মে মিলের খাবারও বাচ্চাদের দেওয়া হয় না। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই এহেন অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- আনন্দে ‘মাতাল’ হবে মনের মানুষ, অসাধারণ এপ্রান্তে বেড়ানোর ৩২ আনা মজা নিন