গরু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। গরু চুরিকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং গ্রামবাসীর খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেল তুফানগঞ্জের ছাটরামপুর গ্রামে। পুলিশের দুটি গাড়ি সহ মোট তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়, ঘটনায় একজন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামবাসীরা দাবী করেন, ওই এলাকা থেকে একের পর এক গরু চুরি হচ্ছিল বহুদিন ধরে। পুলিশের কাছে যাওয়া হলেও পুলিশের তরফ থেকে কোনওরকম সাহায্য পান নি গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় বিজেপি নেতারা টাকা পাচার করছেন: মমতা
শুক্রবার ভোর রাতে ওই এলাকায় একটি মোটর ভ্যানে করে কয়েকটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন কিছু ব্যক্তি। গরু চোর সন্দেহে গ্রামবাসীরা তাঁদের আটকান এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় এবং পরবর্তীতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উত্তেজনা আরও ছড়ায়। ওই ঘটনার খবর পেয়ে তুফানগঞ্জের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে গিয়ে ছবি তুলতে গেলে তাঁদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর করা হয়। আহত দুই সাংবাদিককে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজারহাটে রহস্যজনক বিস্ফোরণ, জখম ২
কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের দাবী, অনেকদিন ধরেই এই গরু চুরি চলছিল ওই এলাকায়। বহুবার থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বলা হয়, "এর আগেও এই অঞ্চলে গরু চুরির ঘটনা হয়েছিল, পুলিশকে জানানো হলেও কোনও রকম পদক্ষেপ তারা নেয় নি, আজ গরুচোরদের হাতেনাতে ধরা হতেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেছে, নিশ্চয়ই এদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে।"
ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের প্রথমে বচসা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তা ধ্বস্তাধস্তির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তিনটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়, এবং পুলিশকর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।