Suvendu Adhikari-Mamata Banerjee: দিঘার (Digha) মন্দিরের পাশে জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) লেখা আচমকা ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। এমনকী গুজব রটানোর অভিযোগে এবার আইনি পদক্ষেপের কথাও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। দিঘার মন্দিরের সামনে বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখা 'জগন্নাথ ধাম' লেখা কাঠামোর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া একটি পোস্ট করে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, "সমাজ মাধ্যমে দিঘা জগন্নাথ ধাম সম্পর্কিত বেশ কিছু ভুয়ো খবর প্রচারিত হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই সমস্ত ভুয়ো খবর ছড়ানো সংক্রান্ত বিষয়ে দিঘা থানায় একটি মামলার রুজু করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।"
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দিঘার মন্দির নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তাঁর দাবি দিঘার জগন্নাথ ধাম লেখা সাইবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুলে তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: মুর্শিদাবাদে আজ ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর, হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দিতে চান মমতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, "পুরী ও দিঘার মধ্যে সমতার ধারণা তৈরির জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বনের এই বিতর্কের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। দিঘার ওই জায়গাটি থেকে "জগন্নাথ ধাম" সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভগবান জগন্নাথ সকলকে সৎ বুদ্ধির আশীর্বাদ করুন। ভগবান আমাদের হৃদয়ে আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুরু করা টানাপোড়েন সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, অনৈতিক এবং ভক্তদের মধ্যে বিভেদ তৈরির একটি চক্রান্ত।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update today: প্রবল বৃষ্টির দোসর হবে ঝোড়ো হাওয়া! কয়েক ঘণ্টাতেই আবহাওয়ায় তুমুল বদল?
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগ নস্যাৎ করে পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি বলেন, "ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাদের স্বভাব তারা এই ধরনের বিষয় তুলে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে। উনি তাই করেছেন। তাছাড়া জগন্নাথ ধামের সামনে স্থায়ী দিক নির্দেশিকা রয়েছে। যদি ওড়িশা সরকারের ভয়ে সরিয়ে ফেলা হতো তাহলে ওই লেখাগুলিও সরিয়ে ফেলা হত। মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকা সাজিয়ে তোলার জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছিল সেটি। পরবর্তী সময় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবার স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হবে।"