Rachana Banerjee: মাত্র ৭০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি। তাও যত খুশি খাও। কিছুদিন আগেই বাঁশবেড়িয়ার বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুমিত অধিকারী বাঁশবেড়িয়া কালীতলা এলাকায় এই দোকান খুলেছেন। শুধু তো পার্টি করলেই হবে না সংসার চালাতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। পুজোর মুখে তাই বিরিয়ানির দোকান খুলে বসেন কিছু লাভের আশায়। ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে এতো কম দামে অঢেল বিরিয়ানি মেলায়। সেটা বোধহয় দেখেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এদিন দুপুরে হঠাৎই হুগলি তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গীসাথীদের নিয়ে চলে এলেন ওই দোকানে। তখনও বিরিয়ানি রান্না সম্পূর্ণ হয়নি। তাই দুপুরের আহার আর খাওয়া হল না। শুধু গেলেন যে তাই নয়, বিজেপি সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ছবিও তুললেন তৃণমূল সাংসদ। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপি সম্পাদক সুরেশ সাউ সব শুনে অবাক! কটাক্ষের সুরে তাঁর তির্যক মন্তব্য, "দামে সস্তা। তারপর আনলিমিটেড। তাই হয়তো তিনি এসেছিলেন খেতে। এতে আপত্তির কিছু নেই।" আসলে এদিন সকালে রচনা এসেছিলেন বলাগড়ে গঙ্গার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে। প্রায় ঘন্টা তিনেক ধরে বিভিন্ন গ্রাম ঘোরার পর ফিরতি পথে বাঁশবেড়িয়া নেমে সোজা ঢুকে যান বিরিয়ানি খেতে।
হাওড়া শাখায় রেলের দুরন্ত কর্মকাণ্ড, এখন আরও কম সময়ে উপভোগ করুন মসৃণ যাত্রা
এদিন হুগলির শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী, মিলনগর গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব দেখে তিনি বলেন, "মাত্র তিনমাস এসেছি সাংসদ হয়ে। চেষ্টা করছি। বলাগড় থেকে চন্দননগর পর্যন্ত নদী বরাবর পাড় ভাঙছে দ্রুত। এই বিশাল জায়গা সামাল দিতে মাস্টার প্ল্যান দরকার এবং একা রাজ্যের দ্বারা তা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের সাহায্য দরকার। আমি দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে দরবার করবো সংশ্লিষ্ট জায়গায়।" আগের বিজেপি সাংসদ এলাকার জন্য কিছুই করেনি, অভিযোগ অভিনেত্রী সাংসদের।
সাংসদকে সামনে পেয়ে নিজেদের সমস্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেছে বাড়ি। পাড় ভাঙছে প্রতিনিয়ত। ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটে গ্রামবাসীদের। আজ সাংসদকে কাছে পেয়ে তাদের দুঃখ কষ্টের কথাও জানান গ্রামের মহিলারা। যাঁদের বাড়ি তলিয়ে গেছে তাঁদের আবাসের ঘর মেলেনি বলে অভিযোগ।
গতির ভিড়ে শক্তি হারিয়ে যেন ধুঁকছে! নিভৃতে বিদায় জানানোর পালা কলকাতার ট্রামকে
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তিনমাস আগে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রচার করে গিয়েছি সেই জায়গা তলিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি, রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার মানুষকে ত্রান দিয়েছি। গঙ্গা ভাঙন রোধ একটা বড় ব্যাপার। আমি লোকসভায় বলেছি। আবারও বলবো। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।"