Balasore Case: বালেশ্বরে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তিনি পরিবারকে ন্যায় বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘এই ঘটনা সমগ্র সমাজের ক্ষত’। পাশাপাশি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
যৌন হেনস্থার অভিযোগে ব্যবস্থা না নেওয়ায় কলেজ ক্যাম্পাসেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কলেজপড়ুয়া এক তরুণী। গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে ভুবনেশ্বর AIIMS-এ ভরতি করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ফকির মোহন কলেজের ওই ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানালেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
মঙ্গলবার এক্স -এ একটি আবেগঘন পোস্ট করে রাহুল জানান, তিনি নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তাঁর কণ্ঠে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্টভাবে অনুভব করেছেন। তিনি লিখেছেন,"ওড়িশার বালেশ্বরে ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে প্রাণ হারানো সাহসী মেয়েটির বাবার সাথে আমি কথা বলেছি। তাঁর কণ্ঠে আমি মেয়েটির স্বপ্ন ও যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট অনুভব করেছি। যা ঘটেছে তা শুধু লজ্জাজনক নয়, এটা সমগ্র সমাজের একটি গভীর ক্ষত।"তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, কংগ্রেস দল এবং তিনি নিজে, নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছেন এবং পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব রাহুল
রাহুল গান্ধী সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বলেন, "এই ভয়াবহ ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী চুপ থাকতে পারেন না। তাঁকে প্রতিক্রিয়া জানাতেই হবে।"
উল্লেখ্য বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজের ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, কলেজের এক অধ্যাপক তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করছিলেন। অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ছাত্রী কলেজ চত্বরে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর গোটা ওড়িশা জুড়ে শোক এবং ক্ষোভের স্রোত বইছে।