Meghalaya honeymoon murder updates: মুখোমুখি দুই পরিবার, রাজার মা'কে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোনমের ভাই।
হানিমুনের মর্মান্তিক পরিণতির কয়েক সপ্তাহ পর ইন্দোরে এক আবেগঘন মুহূর্তে রাজার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশীর পরিবার। সোনমের ভাই গোবিন্দ রাজার পৌঁছে মা উমা দেবীকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকেন। কাঁদতে কাঁদতে বোনের কঠোর শাস্তির দাবি করেন ভাই গোবিন্দ। রাজার মা উমা এখনও দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
“আমি কোনওদিন ভাবতেই পারিনি, ও এমনটা করতে পারে।” পুলিশি সূত্র জানিয়েছে, খুনের সময় সোনম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত বিশাল পিছন থেকে রাজার মাথায় আঘাত করে এবং পরে তিন অভিযুক্ত মিলে রাজার দেহ খাদে ফেলে দেয়। পুলিশ দাবি করেছে, মূল ষড়যন্ত্রকারী রাজ কুশওয়াহা খুনিদের ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন, যাতে ভ্রমণ খরচ ও হোটেল ভাড়াও মেটানো যায়। খুনের পরে তাঁরা আলাদা আলাদা ট্রেনে ইন্দোরে ফিরে যান এবং মোবাইল ফোন ফেলে দেন।
মেঘালয়ে হানিমুন মার্ডার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে যে সোনম রঘুবংশী তার স্বামী রাজা রঘুবংশীকে পৃথিবী থেকে সরাতে প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং তিন পেশাদার খুনির সাথে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সোনম সহ পাঁচ অভিযুক্তকেই উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয়ে আনা হয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়, যেখানে তাদের ৮ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
আরও পড়ুন- ইউনুসের বাংলাদেশে রেহাই পেলেন না বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! পৈতৃক ভিটে কাছারিবাড়িতে হামলা, নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে
অভিযুক্ত কারা?
- সোনম রঘুবংশী - মৃত রাজার স্ত্রী, প্রধান অভিযুক্ত
- রাজ কুশওয়াহা- সোনমের প্রেমিক
- বিশাল চৌহান - খুনের সাথে জড়িত
- আনন্দ কুর্মি - ভাড়াটে খুনি
- আকাশ ঠাকুর- ভাড়াটে খুনি
জিজ্ঞাসাবাদের সময়, ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পারে যে বিশাল ওরফে ভিকি ঠাকুরই প্রথমে রাজার উপর আক্রমণ করেছিল। আকাশ এবং আনন্দও রাজার উপর আক্রমণ করেছিল এবং তারপর তার দেহ একটি খাদে ফেলে দেয়। এই পুরো ষড়যন্ত্রে, সোনমকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল রাজ কুশওয়াহা, যিনি পুরো সময় ইন্দোরে ছিলেন বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি বিশাল, আকাশ এবং আনন্দকে মেঘালয় যাওয়ার জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে সকল অভিযুক্ত ট্রেনে মেঘালয়ে পৌঁছেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, এই তারা জানিয়েছেন যে তারা প্রথমে গুয়াহাটিতে, তারপরে সেখান থেকে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। বর্তমানে, ইন্দোর থেকে মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে কোনও সরাসরি ট্রেন নেই, তাই এই ব্যক্তিরা একাধিক ট্রেন পরিবর্তন করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছান।
আরও পড়ুন- লন্ডনে দাঁড়িয়ে মোদী-হাসিনাকে ঘিরে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য!বিতর্ক উস্কে ফের শিরোনামে ইউনূস
অভিযুক্ত বিশাল সম্পর্কে, পুলিশ আরও বলেছে যে যখন তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, তখন খুনের দিন তার পরা পোশাক উদ্ধার করা হয়। শার্টে রক্তের দাগ অপরাধস্থলের রক্তের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। আপাতত, সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে, এসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুনম চাঁদ যাদবও নিশ্চিত করেছেন যে সমস্ত অভিযুক্ত তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে, এখন শিলং পুলিশ আরও তদন্ত করবে।
চার অভিযুক্তই আসামের গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন, এখন এখান থেকে তাদের শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে ঘটনাস্থলে অপরাধের দৃশ্যটি পুর্ননির্মাণ করা হবে। শিলংয়ে ঘটে যাওয়া এই হত্যার রহস্য সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য উদ্ঘাটন হতে পারে বলে আশাবাদী।
আরও পড়ুন- লন্ডনে দাঁড়িয়ে মোদী-হাসিনাকে ঘিরে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য!বিতর্ক উস্কে ফের শিরোনামে ইউনূস