Muhammad Yunus On Sheikh Hasina: লন্ডনে দাঁড়িয়ে মোদী-হাসিনাকে ঘিরে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য! ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস ফের বিতর্কের শিরোনামে। লন্ডনের 'চ্যাথাম হাউসে' এক আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য করেন তিনি।
লন্ডন সফর থেকে সরাসরি জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” পাশাপাশি নির্বাচনের পরে তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান না বলেও উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। দেশের নিরাপত্তা, দেশের রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে"।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনায় ইউনুস বলেন, "শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে"। তাঁর অভিযোগ, হাসিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভাষণের কারণে বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে। মোদীকে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানালেও মোদী তাতে কর্ণপাত করেন নি"।
আরও পড়ুন- 'ওকে দেখে কত মানুষ ভোট দিচ্ছে দেখি, তারপর সার্টিফিকেট দেব', কাশেমকে খোঁচা হুমায়ুনের
ভারতকে একহাত নিলেন ইউনুস
মহম্মদ ইউনুস অভিযোগ করেন, ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ভারতকে বন্ধু ভাবি, কিন্তু প্রতিবারই মিথ্যা প্রচার বাংলাদেশের ভিতর বিক্ষোভ তৈরি করে চলেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি, হাসিনার এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য অন্তত বন্ধ করুন। কিন্তু উনি বলেছেন, ‘এটা সোশ্যাল মিডিয়া, নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়’ বলে পাশ কাটিয়েছেন"।
এপ্রসঙ্গ টেনে ইউনূস বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি তাঁকে বলেছি, আপনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতেই পারেন, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু অনুরোধ করছি, অন্তত নিশ্চিত করুন তিনি যেন বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করার মতো কথা না বলেন।” ইউনূস আরও বলেন, তিনি চেয়েছিলেন এবিষয়ে মোদী হস্তক্ষেপ করুন এবং হাসিনার এমন ভাষণ বন্ধ করতে সাহায্য করুন। কিন্তু মোদীর জবাব ছিল, “এটা সোশ্যাল মিডিয়া, এবিষয়টি তিনি কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।” মোদীর এই জবাব প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “শুধু সোশ্যাল মিডিয়া বলে মোদী পাশ কাটাতে পারেন না।”
ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে ইউনূস সাফ বলেন, “ ভারত আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না।” তিনি জানান, হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইউনূস বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই হাসিনাকে একাধিক মামলায় নোটিশ পাঠিয়েছে। আরও অপরাধের তথ্য সামনে আসছে। আমরা রাগের বশে কিছু করছি না। পুরো বিষয়টাই আইন মেনে এবং যথাযথভাবে করছি।”
আরও পড়ুন- মহেশতলা কাণ্ডে বিধানসভা অচল করার হুমকি! কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সোচ্চার শুভেন্দু