Raksha bandhan 2018: একরত্তি সুতো, তার মধ্যে খুদে পুঁতি দিয়ে হাতের খেল, কোনও রঙিন সুতোয় আবার জরি দিয়ে কারুকাজ। হ্যাঁ, এভাবেই বছরের পর বছর সেজে ওঠে রাখী। গত কয়েকদিন ধরে বাজারে হরেকরকমের রাখীর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বিক্রেতারা। বিকিকিনির পর আজ সেই রাখী পরার দিন। ভাইদের মঙ্গলকামনায় বোনেদের রাখী পরানোর রীতি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। রাখীপূর্ণিমা মানে শুধু ভাই-বোনের স্নেহের সম্পর্কের অটুট বন্ধনই নয়, এ এক সৌহার্দের বন্ধন, সম্প্রীতির উৎসব বললেও অত্যুক্তি হয় না।
রাখীবন্ধন উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময়ে শামিল হেভিওয়েটরাও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যপাল, সকলেই রাজ্যবাসীকে রাখীবন্ধনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাখীপূর্ণিমার দিনকে ‘সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাখীবন্ধন উৎসবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়েই যে এ বাংলায় এদিনকে ‘সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়, সেকথাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাখি বন্ধন উপলক্ষে আমার সকল ভাই ও বোনেদের জানাই শুভেচ্ছা। রবীন্দ্রনাথের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলায় আমরা এই দিনটিকে ‘সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে পালন করি।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 26, 2018
অন্যদিকে, রাখীবন্ধনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এক বিবৃতিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন যে, এই উৎসব যে শুধু ভাই-বোনের ভালবাসাকে আরও দৃঢ় করে তা নয়, সম্পর্কের ভিতকে আরও মজবুত করে।




আরও পড়ুন, কলকাতায় থিমের রাখী বানিয়ে চমক নূর হোসেন মণ্ডলের
এদিকে রাখীপূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় উৎসবের আমেজ। রাখীবন্ধন উৎসব উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কোথাও রাখী নিয়ে মেতেছে খুদেরা তো কোথাও রাজনীতিকদের হাতেও রাখী উঠেছে। সবমিলিয়ে রাখীবন্ধন উৎসব জমজমাট।