Rampurhat Medical College: জলে থৈ থৈ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ বহু বিভাগ। এক রাতের বৃষ্টিতেই জলমগ্ন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ। সিটি স্ক্যান, এক্স-রে রুমে জল জমে যাওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই ওই দুই বিভাগের কাজ কর্ম পুরোপুরি বন্ধ। ফলে সমস্যার মুখে পড়েছেন রোগীরা। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের এম এস ভি পি পলাশ দাস।
রামপুরহাট হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নত করার পর থেকে শুরু হয় জল যন্ত্রণা। সামান্য বৃষ্টিতেই হাসপাতাল চত্বর জলমগ্ন হয়ে যায়। প্রায় হাঁটু সমান নোংরা জল ডিঙিয়ে রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়। এমনকী হাসপাতালের সিটি স্ক্যান, এক্সরে ঘরে জল জমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মেশিন। জলে নষ্ট হয় মেশিনপত্র। ভোগান্তির স্বীকার হন রোগীর আত্মীয়রা।
শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। হাসপাতাল চত্বর জলমগ্ন। সেই নোংরা জল ডিঙিয়ে রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে আত্মীয়দের। সকাল থেকে বন্ধ এক্সরে এবং সিটি স্ক্যান মেশিন। ফলে বহু রোগীকে নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে বাইরে থেকে সিটি স্ক্যান এবং এক্সরে করাতে হচ্ছে। জল যন্ত্রণায় তিতিবিরক্ত এক রোগীর আত্মীয়।
মাথা ঘুরে যাবে! SSC দুর্নীতিতে প্রসন্নর কত টাকার সম্পত্তি ED বাজেয়াপ্ত করল জানেন?
গৌতম দত্ত নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “পরিকল্পনাতেই গলদ রয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা না করেই বহুতল হাসপাতাল বিল্ডিং গড়ে তোলা হয়েছে। তার ফল ভুক্ত হচ্ছে চিকিৎসা করাতে আশা রোগী থেকে তাদের আত্মীয়দের। এনিয়ে বহু আন্দোলন হয়েছে। ডেপুটেশন জমা পড়েছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি”।
হাসপাতালের এম এস ভি পি পলসা দাস বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে তো জল থৈ থৈ করছে। তাছাড়াও চেষ্ট বিভাগ, সিটি স্ক্যান, আউট ডোর, ফার্মেসী, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার সহ বেশ কয়েকটি বিভাগের সামনে জল জমেছে। আমরা সাধারণত পাম্প চালিয়ে জল বেশ করার চেষ্টা করি। কিন্তু এবার একটু বেশি জল হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই যন্ত্রণার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা সচেষ্ট। বড়সড় প্রজেক্টের জন্য এগোতে হবে। স্বাস্থ্য ভবন বা সরকারকে আমরা অবগত করব যাতে এই সমস্যার সমাধান হয়”।