Durga Puja 2024: হচ্ছে না পুজো। মহালয়ার সকালে ১১১ ফুটের 'সর্ববৃহৎ দুর্গা' বন্ধের ঘোষণা করলেন উদ্যোক্তারা! আদালতে মামলা লড়াই করার মত পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণেই এই পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। রাণাঘাটের এই পুজো ঘিরে ছিল অনেক আশা। শেষ মুহূর্তে বড় গেঁরোয় ভেস্তে গেল সব।
হাত গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আর তারপরেই গোটা বাংলা মেতে উঠবে প্রাণের পুজো দুর্গাপুজোয়। নাওয়া খাওয়া ভুলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবারের দুর্গাপুজোয় সবচেয়ে বড় চমক দিতে চলেছিল রানাঘাটের ১১১ ফুটের দুর্গা। ৮৮ ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল দেশপ্রিয় পার্কের পুজো। তবে শেষমেষ সেই ভিড়ের চাপে পুজো মন্ডপ সাধারণের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়।, আর এবার সেই ৮৮ ফুটের 'বিশ্বের সব থেকে বড় দুর্গা'কে হার মানতে আসরে নামে রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সংঘ। তবে প্রবল ভিড়ের আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে পুজোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করে প্রশাসন। জল গড়ায় আদালতে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গা! এমনই এক 'দুর্গা প্রতিমা' গড়ে নজির গড়ে তুলতে চেয়েছিল রানাঘাটের এই পুজো কমিটি। পুজো প্রস্তুতিও সাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোন এক অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের তরফে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়নি এমনটাই অভিযোগ পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে। পুজো কমিটি ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কমিটির তরফে সুজয় বিশ্বাস বলেন, " দীর্ঘ কয়েক মাসের পরিশ্রম শেষে যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। সেই সময় পুজোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করে প্রশাসন। যদিও কেন অনুমতি দেওয়া হল না সে নিয়ে প্রশাসনের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সংবাদ মাধ্যমের মারফত আমরা জানতে পারি অতিরিক্ত ভিড় এড়াতেই পুজোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে পুলিশ। এনিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত জেলাশাসককে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন কিন্তু সেখান থেকেও অনুমতি মেলে নি। আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের টাকায় এই পুজোর আয়োজন করছিলান। পুজোর জন্য মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত আর্থিক ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। তাই পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত"।
নজরকাড়া থিমে কলকাতাকে টেক্কা! লাখো দর্শনার্থীর প্রশংসা কুড়াতে তৈরি কল্যাণী আইটিআই মোড়ের পুজো
রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সংঘের তরফে পুজোয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউনেস্কোকেও। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ' ইতিমধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। গ্রামবাসীরা কোন রকমের অনুদান না নিয়ে কেবল চাঁদার ভিত্তিতেই এই পুজো আয়োজন করতে চেয়েছিল। ২০ বিঘা জমির উপর এই পুজোর আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা প্রয়োজনে আরও জমি দিতে প্রস্তুত ছিল। প্রশাসনের তরফে যে দাবি জানানো হয়েছে পুজোয় পদপিষ্টের মত ঘটনা ঘটতে পারে তা সঠিক নয়। আমরা পুজো করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলা চালানোর মত অর্থ আমাদের কাছে নেই। অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। আমাদের সব স্বপ্ন শেষ" ।