ভাইফোঁটায় দিদি মমতার কালীঘাটের বাড়িতে দেখা গিয়েছে ভাই কাননকে। সঙ্গে অবশ্যই শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মান-অভিমানের পালা একেবারে গলে জল। যা নিয়েই শুক্রবার মুখ খুলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী (বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে) রত্না চট্টোপাধ্যায়।
কী বলেছেন রত্না?
শোভনকে তৃণমূল নেত্রী ফোঁটা দিচ্ছেন এর মধ্যে বিতর্কে কিছু দেখছেন না বেলেঘাটা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক রত্না। বরং গোটাটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন বলেই ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাফ কথা, 'আমার বিয়ের পর থেকে শোভনবাবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে ফোঁটা নিতে দেখেছি। দিদি ফোঁটা দেবে বলে উনি ওই দিন খুব উত্তেজিত থাকতেন। মাঝে উনি বিজেপিতে গেছিলেন। দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এবার উনি আবার ফোঁটা নিতে গেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ করেছিলেন বলেই উনি গিয়েছিলেন। এতে বিতর্কের কিছু নেই।'
'দিদি'র ডাকে ভাই কানন আহ্লাদে আটখানা। কিন্তু, রত্নার কথায় কী চাপা অভিমানের ইঙ্গিত?
জুনে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর সাক্ষাৎ হোক বা বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে এই দু'জনের যাওয়া- প্রতিবারই রব ওঠে ফের সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে ফিরছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী। শোভন চট্টোপাধ্যায়ও ফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে এসে বলেছিলেন, 'টস হয়ে গিয়েছে গ্লাভস পরে ক্রিজে নামার অপেক্ষা। এই দিনের জন্য আলাদা করে আমন্ত্রণ হয় না। আজকের দিনে দিদির কাছে আসব, এটা আলাদা করে কি বলব। দিদি ও আমার মধ্যে একান্তে কথা হয়েছে। দিদি যা সিগন্যাল দেওয়ার বা যেটা বলেছেন, তার বাস্তবায়ন করব। দিদির ভালোবাসা, স্নেহ সেটা অনেক সময় অনেকভাবে ক্যালকুলেশন করা হয়। বাস্তবটা কি সেটা আমিই জানি।'
তাহলে কী সত্যিই এবার রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে শোভনবাবুকে? রত্না চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, '২০১৮ সালে উনি বসে গিয়েছিলেন, এখন ২২ সাল। মাঝে ৪ বছর কেটে গিয়েছে। প্রতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর শুনি উনি রাজনীতিতে ফিরছেন। কিন্তু, ফোঁটা নিতে যাওয়া বা নবান্নে গিয়ে সাক্ষাৎ করা মানেই ওঁর রাজনীতিতে ফেরা নয়।'
আরও পড়ুন- ‘বেতন বন্ধ হতে চলেছে’, সরকারি কর্মীদের বিরাট আশঙ্কার কথা শোনালেন শুভেন্দু