Lok Sabha Election 2024 Results: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির আসন সংখ্যা ১৮। লক্ষ্য ছিল ২২। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয় ৭৭টি আসনে। সেবারে টার্গেট ছিল ২০০। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন বিজেপি জয়ী হয় ১২ আসনে। সেবার টার্গেট ছিল ৩০-৩৫ আসন।
এবার একেবারে ধপাস! বঙ্গ বিজেপির কেন এই হাল? শুধুই কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা তৃণমূলের সামাজিক প্রকল্পের প্রভাব? বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁয়েরা। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আমতা আমতা করছেন। "দায় তো নিতেই হবে।" তবে বসিয়ে দেওয়া বিজেপি নেতা-কর্মীরা স্রেফ বসে বসে মজা দেখছেন। বিভিন্ন জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য নেতৃত্ব নিয়ে বারে বারে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিজেপি নেতারা।
বঞ্চিত বিজেপি কর্মীদের একত্রিত করে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ায় সর্বভারতীয় সম্পাদক পদ থেকেই সরে যেতে হয়েছিল অনুপম হাজরাকে। তারপর আর কেউ উদ্যোগ নেয়নি বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের ঘরে ফেরাতে। বরং লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ ওই নেতা-কর্মী ছাড়াই সহজ জয় পেয়ে যাবেন বলে মনে করেছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘জেতা আসনে হারাতে প্ল্যানিং’, ভয়ঙ্কর অভিযোগে বঙ্গ BJP-তে আগুন ধরালেন দিলীপ!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন শীর্ষ নেতা বলেন, "এখন শুধু দেখার পালা। সবাই দেখুক রাজ্য বিজেপির হাল। এমন এমন লোক সাধারণ সম্পাদক পদে বসে আছেন যাঁদের ন্যূনতম সংগঠনিক দক্ষতা নেই। যাঁরা বিজেপিকে এরাজ্যে পাঁচ বছর আগে ১৮টি আসন পেতে জান লড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের অনেককেই দল বঞ্চিত করেছে। তাঁদের দল কাজে লাগায়নি। তবে এই বঞ্চনা শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। যা এবারও করেছে। এমনভাবে চললে আগামীতে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা স্বপ্নই থেকে যাবে।"
আরও পড়ুন- TMC: তৃণমূল নেতাকে খুনের ‘চক্রান্ত’ দলেরই যুব নেতার? আগুনে অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত রায়না
২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নির্বিচারে বিজেপি নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে তৃণমূল থেকে আসা অধিকাংশকে প্রার্থী করে পদ্ম শিবির। তার ফল ভোগ করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এবারও কিন্তু তার অন্যথা হয়নি। ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং ও কলকাতা উত্তরে তাপস রায়ের মতো দলবদলুদের ফের প্রার্থী করে বিজেপি। দুটি লোকসভাতেই বিজেপি হেরেছে। বঙ্গ বিজেপির কোন অংশের উদ্যোগে এই দলবদলু তৃণমূলীদের প্রার্থী করা হয়েছিল তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে।
আরো পড়ুন- Travel: পাহাড়ি গ্রামের চিত্তাকর্ষক শোভায় মন মোহিত হবে! বর্ষায় উত্তরবঙ্গ বেড়ানোর সেরা ঠিকানা এটিই
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা হয় বর্ধমান-দুর্গাপুরে। এদিকে দিলীপ ঘোষ থেকে সৌমিত্র খাঁ, এমনকী সুকান্ত মজুমদাররা নাম না করে কাকে নিশানা করেছেন? তা নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক খোলনোলচে কি বদল হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপির অন্দরমহলে।