কংগ্রেসের তরুণতুর্কী নেতা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি, আইএসএফ থেকে বামফ্রন্টসহ বিরোধীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আদালতে কৌস্তভের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ১০০ জন আইনজীবী। এদিকে যে বইয়ের কথা কৌস্তভ বলেছেন খোদ সেই বইয়ের লেখক প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'কৌস্তভের গ্রেফতার শুধু অন্যায় নয়, বেআইনি। বই নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১২ বছর ধরে মানহানির মামলা চলছে। তাতেও উৎসাহ হারিয়েছে তৃণমূল।'
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপক ঘোষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কিত বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১২ সালে। ওই বইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বই প্রকাশের পর কী কান্ড ঘটেছিল? আইএএস দীপক ঘোষ বলেন, 'এই বই নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ১২ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এখন আর তেমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না তৃণমূলের তরফ থেকে। ২০১২ সালে আমার বই প্রকাশিত হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূলের পক্ষে মুকুল রায়। তখন বলতে হয়েছিল আমি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য। পরে মুকুল রায়ও বিজেপিতে চলে যায়। ১২ বছর ধরে চলতে থাকা সেই মামলার ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। কৌস্তভ আমার ওই বইয়ের উদ্ধৃতি তুলে কথা বলেছে।'
ভোররাতে কৌস্তভের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার নিয়ে হইচই বেঁধে গিয়েছে। সমস্ত বিরোধীদল প্রতিবাদ করছে পাশাপাশি তৃণমূলেরও কেউ কেউ প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। কী বলবেন আপনি? দীপক ঘোষ বলেন, 'যেভাবে ওই রাতে পুলিশ ওর বাড়িতে গিয়েছে তা শুধু অন্যায় নয়, বেআইনি। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছেন। ওই রাতে এভাবে পুলিশ যেতে পারে না। পুলিশ যেভাবে এই কাজ করেছে তার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। থানাগুলিতে চটি চেটে কাজে শুরু করে পুলিশ।'
তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি ও দলীয় বিধায়ক ছিলেন দীপক ঘোষ। তিনি আরও একটি বই লেখার কাজ করছেন। প্রাক্তন আমলার দাবি, 'আমার বইয়ে যা লেখা হয়েছে তা সবই সত্যি। আরেকটি বই লেখার কাজ চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন বই প্রকাশিত হবে।'