Junior Doctors' Movement: অনশন আন্দোলনের মধ্যেই সরকারের তরফে সাড়া না পেয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পরদিনই ধর্মতলায় ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে গেলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
মুখ্যসচিবের ফোনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা শোনানো হয় অনশনমঞ্চে। অনশন আন্দোলন থেকে সরে আসার বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, 'অনশন তুলতে অনুরোধ করছি। আলোচনায় বোসো। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। প্রায় সব ক’টিই দাবি পূরণ হয়েছে। ৩-৪ মাস সময় দাও। হাসপাতালগুলিতে নির্বাচন করাব। দয়া করে অনশন প্রত্যাহার করো। কাজে যোগ দাও।'
অনশনকারীরাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় আলোচনায় বসার আর্জি জানান। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকের সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এও জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের তরফে ১০ জনের বেশি প্রতিনিধি যেন না যান নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি মানবিকতার পক্ষে। তিনিও বিচার চান। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান, তা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন? প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর আশ্বাস, আদালতে মামলা চলছে। বিচার মিলবে। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে প্রথম ভোট, নজিরবিহীন সুরক্ষার বন্দোবস্ত
শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান. সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা দেওয়া হল। ওই সময়ের মধ্যে সাড়া না দিলে মঙ্গলবার থেকে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘট হবে। সেই ধর্মঘট পালন করবেন সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অনশন মঞ্চে হাজির প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা, এল বিবৃতি
জানা গিয়েছে, ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চে গিয়ে অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যসচিব কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। অনশনকারীদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলান মনোজ পন্থ। পরে জানা যায় ফোনের অপর প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। মমতার সঙ্গেই ফোনে কথা বলাচ্ছিলেন মুখ্যসচিব।
পুজোর আগে মুখ্যসচিবের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সেই বৈঠক নিষ্ফলা ছিল দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।