RG Kar Case: আর জি করের ক্রাইম সিনে উপস্থিত থাকা, আই এম এ থেকে সভাপতি পদ খোয়ানো বিতর্কিত চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তীকে সংসদ বিধায়ক মন্ত্রীদের সাথে এবার দেখা গেল তৃণমূলের মঞ্চে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের। মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান সহ মালদা মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়করা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মালদার বৈষ্ণবনগরের পিটিএস মোরে গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই নিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল ও মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের যৌথ উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।আর সেই সভা মঞ্চে উপস্থিত এই বিতর্কিত চিকিৎসক।সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।শুরু হয় বিতর্ক।
'শেষ চেষ্টা করলাম', ডাক্তারদের দাবি মানছেন? ধরনাস্থলে গিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
কে এই তাপস চক্রবর্তী? ডাক্তার তাপস চক্রবর্তী আইএমে মালদা শাখার সভাপতি ছিলেন। আরজি করার ঘটনার দিন তিন পাটে যে কয়েকজনের ছবি ভাইরাল হয়েছে তার মধ্যে তার ছবি দেখা গিয়েছিল।এর জেরে আই এম এ থেকে তিনি পদ খোয়ান। তার রেস কাটতে না কাটতেই আবার তিনি তৃণমূলের মঞ্চে।
বিজেপি জেলা সভাপতি উজ্জল দত্ত বলেন, এটাই তো তৃণমূলের কালচার। যে ডাক্তারকে তার সংগঠন বহিষ্কার করে সেই ডাক্তারকে তৃণমূল সর্ম্বধিত করে। তারা সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কারণ একটাই তাপস চক্রবর্তী ডাক্তারদের মাঝখানে থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিল। আজকে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। তৃণমূল এই ধরনের যারা ডাক্তারি পরিষেবা দিচ্ছে। পরিষেবার পরিপন্থী যারা কাজ করছে তাদেরকে নিয়ে তৃণমূল চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ধরনাস্থলে আসায় এবার কী গলবে বরফ? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, আরজিকর কাণ্ড পশ্চিমবঙ্গে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটেছে। তৃণমূল সরকার রেশন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবকিছুতেও দুর্নীতিতে ভরিয়ে দিয়েছে।স্বাস্থ্য বাবস্থা তো যাকে বলে পঞ্চোত্তর প্রাপ্তি গঙ্গা প্রাপ্তি করে দিয়েছে। মানুষ আগে লবি বলে কি জানতো না। এখন উত্তরবঙ্গ লবি হয়েছে।যাতে করে মালদা শিলিগুড়ির ডাক্তাররা তো থাকবেন। এদেরকে অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত।
তাপস চক্রবর্তী তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতা। তা কার্যত মেনে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিষ কুন্ডু। তিনি বলেন, সিপিএম এবং বিজেপির মুখে এই ধরনের কোন কথাবার্তা মানায় না। সিপিএমের মঞ্চ সবসময় দুষ্কৃতীদের দেখা যেত। বিজেপির মঞ্চে বাংলায় যেসব কুখ্যাত সমাজবিরোধীরা শোভা পাচ্ছে তাদের কাছে তৃণমূলকে সুশিক্ষা শিখতে হবে না। আমাদের দলটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন।