RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। এদিন ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন জানান রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। কিন্তু পাল্টা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ডাক্তারদের নিরাপত্তায় কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, গত শুনানিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম ডাক্তারদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। ওই বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে?
কপি সিব্বল জানান, আরজি মেডিক্যাল কলেজে আগে ৩৭টি সিসি ক্যামেরা ছিল। মঙ্গলবার রাজ্য জানিয়েছে, আরও ৪১৫টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। প্রধান বিচারপতি তাতে জানতে চান, 'আগে মাত্র ৩৭টি ছিল, এখন বলছেন আরও ৪১৫টি ক্যামেরা লাগানো হবে?' কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। তাতে আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি হাসপাতালে অন্তত পুলিশকর্মী রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তো? নিরাপত্তার অভাব ছিল বলেই তো ওই সিভিক ভলান্টিয়ার সারা হাসপাতাল ঘুরে বেড়িয়েছেন। আবার নিরাপত্তার দায়িত্বে অস্থায়ী কর্মী রাখবেন? যেখানে সবসময় কাজ চলছে। ডাক্তাররা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করছেন। সেখানে এমন নিরাপত্তা কেন, ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ৭ দিনের ট্রেনিং দিয়ে কী ভাবে তাঁদের থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করেন? কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে পারে রাজ্য? রাজ্যের এই বিষয়ে ভাবা উচিত।'
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ। আরও ১৭টি হাসপাতাল সরকারি। সেখানে ১৮-২৩ বছরের তরুণীরা কাজ করেন। তাঁদের নিয়ে কাজ করতে হয়। তাঁদের নিরাপত্তায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।'
কপিল সিব্বল জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম রিপোর্ট দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের সব হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য পৃথক শৌচাগার, বিশ্রাম কক্ষ, সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। চিকিৎসকদের ডিউটি রুমেও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে জানান, সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের আশ্বাস মেনে এবার তাঁদের কাজে ফেরা উচিত। সেই প্রসঙ্গে ইন্দিরা বলেন, 'জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফিরতে চান। জুনিয়র ডাক্তারেরা জেনারেল বডির মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তার জন্য একটু সময় লাগবে।'
আরও পড়ুন সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে অত্যন্ত বিচলিত প্রধান বিচারপতি, আরজি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট কী বলল শুনানিতে?
কপিল সিব্বল জানতে চান, 'জেনারেল বডি মিটিং কখন হবে? জানানো হোক।' তাতে ইন্দিরা জয়সিং তা জানাতে পারবেন না বলেন। এদিনের মতো শুনানি শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টে।