RG Kar Case Supreme Court: মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। রাজ্য তথা গোটা দেশ এই মামলার শুনানির দিকে নজর রেখেছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে এদিন মামলার শুনানি শুরু হয়। সিবিআই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআই যা রিপোর্ট দিয়েছে তা খুবই উদ্বেগের। রিপোর্ট পড়ে তাঁরা বিচলিত বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি জানান, ময়নাতদন্তের চালান দেওয়া হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছে কি না, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট-সহ পুরো বিষয়টি রিপোর্টে বলা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা তদন্ত রিপোর্ট পড়ে দেখেছি যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তদন্তে সেগুলি উঠে এসেছে। রিপোর্ট পড়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, চার্জশিট জমা দিতে কত দিন সময় লাগবে?
এদিকে, লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজ্যের আর্জি করে দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, আমরা সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটা জনস্বার্থ মামলা। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাবমূর্তি রয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি কোর্টে হাসাহাসি করছি। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন মমতা দাবি মানলেও খুশি নন জুনিয়র ডাক্তাররা, কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন আন্দোলনকারীরা
প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বাবা যে বিষয় তুলেছেন, সিবিআইয়ের সেগুলি দেখা উচিত। নির্যাতিতার নাম উইকিপিডিয়াকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, জনস্বার্থ মামলাকারী বিজয়কুমার সিঙ্ঘলের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে বলেন, কলকাতা পুলিশ কেন ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিল? বাকি ফুটেজ দিল না কেন? তাঁর অভিযোগ, সিজার লিস্টে নির্যাতিতার পরনের জিন্স এবং অন্তর্বাস নেওয়া হয়নি। কপিল সিব্বল বলেন, ৭-৮ ঘণ্টার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। সিবিআই ফুটেজ নেওয়ার কাগজে সই-ও করেছে। প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, তাহলে সিবিআই কেন বলছে, ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নাম জমা দিতে চাই সিবিআইকে। যাঁদের সেখানে থাকার দরকার ছিল না, তাঁরাও ছিলেন। এখনই এটা প্রকাশ্যে আনতে চাই না। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালত জানায়, আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার দিন অকুস্থলে কারা ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে পারবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একইসঙ্গে সিবিআইকে নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে সেই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।