RG Kar case: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) ৪ মাসের মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে প্রত্যাবর্তন সেই অভীক দে-র। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপরেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। প্রতিবাদে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে অবস্থানে বসেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের সদস্যরা। রাতভর চলে বিক্ষোভ।
আরজি কর কাণ্ডের আবহে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে হুমকি সংস্কৃতিতে নাম জড়িয়েছিল অভীক এবং বিরূপাক্ষের। তারপর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছিল, তাদের বৈঠকে আর উপস্থিত থাকতে পারবেন না দুজন। সোমবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে কাউন্সিল। এদিন তাঁরা কাউন্সিলের বৈঠকেও যোগ দেন। কাউন্সিল জানিয়েছে, কোনও আইনের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। তখন পরিস্থিতির চাপে করা হয়েছিল।
কাউন্সিলের এই পদক্ষেপে যারপরনাই ক্ষুব্ধ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। তাঁদের তরফে প্রশ্ন, অভীক-বিরূপাক্ষকে কি তাহলে কাউন্সিল থেকে বাদ দেওয়া লোকদেখানো ছিল? রাতে কাউন্সিলের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন আজও শিকে ছিঁড়ল না পার্থর, জামিন মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের দুষল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পেনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ওই কলেজেরই প্রাক্তন আরএমও অভীক কাউন্সিলের সদস্য। সোমবার কাউন্সিল আদেশ প্রত্যাহার করলে তাঁরা বৈঠকে যোগ দেন।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তাতে নাম জড়ায় অভীক এবং বিরূপাক্ষের। আরজি কাণ্ডের ঘটনাস্থলে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও তিনি সেখানে কেন গিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। দুজনকেই সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। দুজনকে তলব করে জেরাও করে সিবিআই।