Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী সহ কলকাতা পুলিশ কমিশনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার দাবি, সংস্কারের চিঠি ঘিরে আসরে বিজেপি

RG Kar Doctors death and rape: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজপথ। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। ১৪ অগাস্টের পর গতকাল আরও এক রাত দখলের সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। এবার ভাইরাল আরজি কর কাণ্ডে ভাইরাল হয়েছে এক চিঠি।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
mamata veneet goyel

মুখ্যমন্ত্রী সহ কলকাতা পুলিশ কমিশনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার দাবি, সংস্কারের চিঠি ঘিরে আসরে বিজেপি

RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজপথ। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। ১৪ অগাস্টের পর গতকাল আরও এক রাত দখলের সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। এবার ভাইরাল আরজি কর কাণ্ডে ভাইরাল হয়েছে এক চিঠি। আর সেই চিঠিকে হাতিয়ার রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে আরজি করের বিভিন্ন বিভাগে ডক্টরস’ রুম এবং লাগোয়া শৌচালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিটি লিখেছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করে কর্তব্যরত পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ওই চিঠি লিখে শৌচালয় মেরামত ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সেই চিঠিকে নিশানা করেই আসরে নেমেছে বিজেপি।  

Advertisment

RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ? দুর্গাপুজোর অনুদান ফেরাল আরও একটি ক্লাব

আরজি করে তরুণী  চিকিৎসক মৃত্যুর পরদিন অর্থাৎ ১০ অগাস্ট হাসপাতালে সেমিনার সংলগ্ন শৌচালয় সংস্কার এবং মেরামতের নির্দেশ দেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষই। এবার সামনে এল সেই চিঠি। চিঠির উল্লেখ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, হাসপাতাল সংস্কার এবং মেরামতের কথা বলে পিডব্লিউডি-কে লেখা চিঠিতে নিজে স্বাক্ষর করেন সন্দীপ ঘোষ। 'ক্রাইম সিন' থেকে থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই ওই নির্দেশ দেন সন্দীপ ঘোষ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও পুলিশ কমিশনার তা অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সিবিআই হেড কোয়ার্টার-কে ট্যাগ করে ওই চিঠি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। 

এবিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে একটি এক্স পোস্টে লিখেছেন, "আরও একটি প্রমাণ, যা প্রমাণ করে সন্দীপ ঘোষই ৯অগাস্ট অপরাধের ঠিক একদিন পর ১০ই আগস্ট সেমিনার রুম লাগোয়া শৌচালয়  মেরামত ও সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মানে অপরাধ যেদিন ঘটে তার আগে শুরু হওয়া সংস্কারের দাবিটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজ্য সরকার এবং হাসপাতাল মিথ্যা কথা বলেছে। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল প্রশাসন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত প্রমাণ ধ্বংস করতে এবং অপরাধের তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে একত্রিত হয়েছেন। আমি আবারও বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল পদত্যাগ না করলে, অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। এরই মধ্যে অনেক প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। অপরাধের পর ৭২ ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রী এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের মধ্যে কী কী কথোপকথন হয়েছে তা সর্বসম্পক্ষে রাখা হোক! সত্য উদঘাটনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিনীত গোয়ালের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা উচিত। ন্যায় বিচারের আন্দোলন চলছে-চলবে"। 

 

 

Doctors Death RGKar medical college & hospital
Advertisment