Junior Doctor Lalbazar March: "পুলিশ ব্যর্থ এটা মেনে নিয়েছেন পুলিশ কমিশনারও। কোনও সদুত্তর কমিশনারের থেকে পাইনি। সিপির পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। অবস্থান তুললেও আন্দোলন চলবে।" দেড় ঘণ্টা ধরে লালবাজারে আজ পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের ২২ প্রতিনিধি। সেই বৈঠক শেষে বেরিয়ে এমনই জানিয়েছেন এক চিকিৎসক প্রতিনিধি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে একটানা অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আপাতত বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই অবস্থান চিকিৎসকরা তুলে নিয়েছেন।
Advertisment
মঙ্গলবার লালবাজার থেকে বেরিয়ে এক চিকিৎসক প্রতিনিধি বলেন, "আমরা আমাদের স্মারকলিপি সিপি-কে দিয়েছি। উনি আমাদের স্মারকলিপি জমা নিয়েছেন। আমরা প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। পুলিশ কমিশনার স্বীকার করেছেন পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের ঘটনা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। উনি বলেছেন তিনি তাঁর কাজে খুশি, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বললে তিনি পদত্যাগ করবেন।"
সোমবার রাতভর ফিয়ার্স লেনের উপরেই অবস্থানে বসে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ কমিশনার পদত্যাগ করুন, এই দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ফিয়ার্স লেনে ট্রাম লাইনের উপর রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বসে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাঁরা রওনা দেন লালবাজারের উদ্দেশে।
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আটকাতে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে লালবাজারের সামনে বসেছে ভারী, চওড়া ব্যারিকেড। যাতে সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে না পারেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার এমন অভিনব প্রস্তুতি পুলিশের। আন্দোলনকারীদের রুখতে টিয়ার গ্যাসের সেল নিয়ে তৈরিও ছিল পুলিশ।
Advertisment
সোমবার লালবাজারের আগেই মিছিল আটকে দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা ফিয়ার্স লেনের সামনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কুশপুতুল পোড়ান। তাঁদের দাবি, লালবাজারে কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা কমিশনারকে ডেপুটেশন দিতে চান। বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। নাহলে তাঁরা যাবেন না। মিছিল এগোতে না দিলে সেখানেই বসে থাকবেন তাঁরা।
শেষমেশ লালবাজারে জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরে চিকিৎসকদের ২২ প্রতিনিধি ঢোকেন লালবাজারে। পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবি তুলে তাঁরা সরাসরি গিয়ে দেখা করেন সিপি বিনীত গোয়েলের সঙ্গেই। দেড় ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। চিকিৎসকরা তাঁদের স্মারকলিপি সিপির হাতেই জমা দিয়েছেন।