RG Kar Mamata Banerjee MP Jawhar Sircar: তাঁর ইস্তফাপত্র পুনর্বিবেচনার জন্য দলনেত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি ফিরিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'আমি আর পারছি না। সংসদ থেকে মুক্তি চাই। রাজনীতি ছাড়ছি কিন্তু নীতি ছাড়ব না।' ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর জায়গায় রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জহর সরকারকে পাঠিয়েছিল। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে জহর সরকারের মেয়াদ ২০২৬ সালের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ফের তাঁকে সাংসদ করারও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, চলতি মেয়াদেরই প্রায় দেড় বছর আগে তিনি সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন।
রবিবারই সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন জহর সরকার। এরপরই তাঁকে ফোন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি জহর সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে ইস্তফাপত্র ফেরানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু, স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী জহর সরকার জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে (আরজি কর-কাণ্ডে) আর, তাঁর পক্ষে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করা সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রের খবর, দলনেত্রীকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, 'আমি আর পারছি না। সংসদ থেকে মুক্তি চাই। রাজনীতি ছাড়ছি, কিন্তু নীতি ছাড়ব না। মানুষকে একবার কথা (ইস্তফার বার্তা) দিয়ে ফেলেছি। তা আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।'
I am quitting as MP primarily because of WB government’s faulty handling of the most spontaneous public movement following the terrible rape-murder case at RG Kar Hospital.
— Jawhar Sircar (@jawharsircar) September 8, 2024
Quitting politics— to be with the people in their struggle for justice.
My commitment to values unchanged pic.twitter.com/V98R06ziny
তবে, জহর সরকার অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর ঠিক কী কথা হয়েছে, সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। তিনি এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'আমাকে তিনি ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে। তবে, কী কথা হয়েছে, সেটা আমি প্রকাশ্যে বলব না।' সূত্রের খবর, ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিতে পারেন জহর সরকার।
আরও পড়ুন- অপসারিত IMA-র মালদা শাখার সভাপতি, ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর তাঁকে দেখা যায় আরজি করে
আরজি কর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, 'বর্তমানে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন আমরা দেখছি, তার জন্য দায়ী কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির পেশিশক্তির আস্ফালন। আমি এর আগে জনগণের এমন ক্ষোভ আর সরকারের প্রতি অনাস্থা দেখিনি। আন্দোলনে জড়িতরা অরাজনৈতিক লড়াই করছেন। সেই কারণেই তাঁরা শুধু বিচার আর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। আমি আরজি কর ইস্যুতে গত একমাস ধরে যাবতীয় প্রতিক্রিয়া দেখছি। সরকার এখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও দেরি করে ফেলেছে।'