/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/sand-smuggling.jpg)
নদী থেকে তোলা বালি পারে মজুত রয়েছে। ছবি- পার্থ পাল
গরু, কয়লা পাচার নিয়ে কেন্দ্রের একাধিক সংস্থার তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। এখনও তদন্ত জারি রয়েছে। এবার বেআইনি বালিপাচার নিয়ে খোদ তদন্ত করছে রাজ্যের সাইবার ক্রাইম পুলিশ। ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মূল পান্ডাদের খোঁজ চলছে।
বালি পাচারে এখন সরকারি ওয়েবসাইট ও জাল নথির ব্যবহার চলছে বলে জানতে পেরেছে সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশ। অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে জোরদার তদন্ত করছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। এর আগে বীরভূম থেকে হাসানুজ্জামান মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার অন্যতম মূল অভিযুক্ত সফ্টওয়্যার ডেভলপার সৌভিক চট্টোপাধ্যায়কে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন-ছেলের শরীরে বিএসএফের ‘১৮০ গুলি’! নিজের রুমাল দিয়ে নিহতের মায়ের চোখ মোছালেন অভিষেক
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ রাজ্য সরকারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করে বালি পাচার চক্রের অন্য়তম পান্ডা হাসানুজ্জামান মোল্লাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে নতুন তথ্য। জানা যায়, এই চক্রের ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার এবং ওয়েবসাইট ডেভলপ করার দায়িত্বে ছিল কাটোয়ার বাসিন্দা সৌভিক চ্যাটার্জি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল কাটোয়ায় হানা দেয় সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে অন্যতম অভিযুক্ত সৌভিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক এবং মোবাইল ফোন সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হচ্ছে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে, সূত্রে খবর।
সরকারি ওয়েবসাইট এবং নথি জাল করে বালি পাচারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। এই বেআইনি চক্রের পিছনে মূল মাথা কে বা কারা? তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ। এই অপরাধ চক্র কি তাহলে বর্ধমান, বীরভূমে বেআইনি বালির কারবারে সক্রিয় ছিল? কোনও প্রভাবশালী বালির কারবারি কি যুক্ত? তদন্তে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।