Ajit Maity TMC: নামে-ই যায়-আসে। প্রতি মুহূর্তে তা মালুম হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির! কলকাতার হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে টেলিফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সে কথাই শোনালেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।
উত্তপ্ত সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরা ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে গ্রামবাসীরা ফুঁসছেন সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও। রবিবারই গ্রামবাসীরা ধাওয়া করেছিল বেড়মজুরের অজিত মাইতিকে। প্রাণ বাঁচাতে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে। শেষপর্যন্ত ওই রাতেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। সোমবার অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালির অজিত মাইতি যখন শ্রীঘরে। তখন হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। রবিবার সকাল থেকেই নাকি তাঁর ফোন বহুবার বেজেছে। সকলেরই এক প্রশ্ন, 'কেন আপনাকে তাড়া করল দাদা?' ফোন ধরতে ধরতে ও জবাদিহিতে রীতিমত ক্লান্ত অসুস্থ অজিতবাবু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন- Sheikh Shahjahan: কোর্টের নির্দেশের পর আরও বিপাকে শাহজাহান, কী পদক্ষেপ পুলিশের?
এদিন ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে পিংলার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'চরম বিভ্রান্তি, মানুষের সময় খারাপ থাকলে এরকম হয়। ১৫ দিন ধরে আমি হাসপাতালে ভর্তি। ৭ দিন হল হার্ট অপরেশন হয়েছে। তার মধ্যেই এসব হচ্ছে। দলের সন্দেশখালির কোন অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে পুলিশ ধরেছে, আর আমার কাছে সব ফোন আসছে।'
মেদিনীপুরের অজিত মাইতির প্রশ্ন, 'আরে আমি তো দীর্ঘদিন তৃণমূল করি। অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাপতি ছিলাম। এখন শুধুই পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাপতি। কোনও দিনই অঞ্চল সভাপতি ছিলাম না। আর আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত নই। ফলে আমার জনপ্রিয়তাও হারায়নি। ফলে এসব যাঁরা করছেন তাঁরা একটু সচেতন হলে ভাল হয়। হয়তো না জেনে কেউ কোথাও আামর ছবি দিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু আমি যে সেই অজিত মাইতি নেই সেটা একবার বলে দিলেই হল। আর এরপরও যদি কেউ আমাকে সন্দেশখালির অজিত মাইতি বলে চালানোর চেষ্টা করে তবে বলব সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে।'
শেক্সপিয়র লিখেছিলেন, 'নামে কী যায় আসে।' নামবিড়ম্বনায় অজিত মাইতি বুঝছেন নামের গুরুত্ব!