Sandeshkhali Incident: আজও সকাল থেকে গণবিক্ষোভে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। ফুঁসছে সন্দেশখালির বেড়মজুর। শুক্রবার সকালে প্রবল বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়ে এই এলাকায়। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি ও তোয়াব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তৃণূলের দাপুটে বাহিনী ঘর দেবে বলে টাকা খেয়েছিল, ভোট দিতে গেলে হাত থেকে স্লিপ কেড়েনিত। অভিযোগ বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে ভেড়ি। যার জেরেই আশান্তি ছড়ায়। লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা।
এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা করেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'এখানে প্রশাসনের শিবির বসেছে। জেলাশাসক রয়েছেন। তাঁরা আপনাদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু এ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে গোটা প্রক্রিয়াটায় দেরি হবে।'
আরও পড়ুন- Digha: পর্যটকদের কথা ভেবেই দুরন্ত সিদ্ধান্ত! এবার অফুরান উচ্ছ্বাসে ভাসুন দিঘায়
গতকালই ঝুপখালিতে শাহাজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে গর্জে ইঠেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। তারপরই সন্দেশখালি ২ ব্লকের ন'টি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সন্দেশখালি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সুকান্তমজুমদারকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এদিন সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। সন্দেশখালির আগে ভোজেরহাটেই আটকানো হয় লকেটকে। বিজেপি নেত্রী প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালিতে যখন ১৪৪ ধারা জারি আছে, তখন ভোজেরহাটে কেন আটকানো হল তাঁকে? পুলিশের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় বিজেপি সাংসদের। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ। লকেট ও বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কেএলসি থানায়।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। সকালেই মহিলা প্রতিনিধিরা এলাকায় পৌঁছে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। এরপর গ্রামে প্রবেশ করে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।