sandeshkhali case cbi investigation: সন্দেশখালি কাণ্ডে দুপুরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও, আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিশেষ তদন্তকারী দলগঠনের নির্দেশ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মত, বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবানী ভবনে চলে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আদিকারিকরা। কিন্তু, সন্ধ্যায় ৭টার পরও সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয়নি পুলিশ। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে বলে সিবিআই-কে জানিয়ে দেয় পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে সিআইডির হেফাজতেরাখা হয়েছে বহিষ্কৃত এই তৃণমূল নেতাক। শাহজাহানের পুলিশি হেফাজের নির্দেশের পরই ইডি তাকে হেফাজতে চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি ছিল সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলেও কোনও ভরসা নেই। কারণ, রাজ্য পুলিশ এই মামলায় সহযোগিতার করবে না। তাই এই তদন্তভার শুধু সিবিআইকেই দেওয়া হোক। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকা ণ্ডে রাজ্য পুলিশের এসপি এবং সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের জন্য জানুয়ারিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য হিসাবে নবান্ন রাজ্যে কর্মরত আইপিএস অফিসার জসপ্রীত সিংয়ের নাম আদালতে জমা দেয়। কিন্তু যৌথ তদন্তের সেই নির্দেশে আপত্তি তুলেছিল ইডি।
আদালত সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দু'টি এফআইআর (৮ ও ৯ নম্বর) দায়ের হয়েছিল। এছাড়া বনগাঁ থানায় আরও একটি এফআইআর (১৮ নম্বর) দায়ের হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- Justice Abhijit Ganguly: ২০২৬ অবধি তৃণমূল টিকবে না, শুধু ২-৩টে গ্রেফতারি চাই: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
শাসক দল তৃণমূল সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা রাখলেও সিবিআই তদন্ত আগেই চেয়েছিল বিজেপি। শেষপর্যন্ত সেই দাবি পূরণ হল। সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায়, অন্যান্য মামলার মত সন্দেশখালির তদন্তও যেন দীর্ঘ সূত্রিতায় থমকে না যায়।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে এদিনই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাতে সাড়া দেননি। প্রক্রিয়া মেনে মামলা হবে বলে জানানো হয়।