Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালি রওনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এবার তিনি সঙ্গে নিয়েছেন ৩ জন বিধায়ককে। কিন্তু ১৪৪ ধারা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি পৌঁছালে পরিস্থিতি যে ভয়ানক ঘোরালো হতে পারে তা বিলক্ষণ জানেন তাঁর একসময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ককে আটকাতে কোনও কসুর করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় বাঁশের কেল্লা বানিয়ে ফেলেছে পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগের ঘটনা। সিঙ্গুরে (Singur) জমি আন্দোলন চলাকালীন ১৪৪ ধারা জারি ছিল। ইসলামপুর থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের উদ্দেশে। ভোর রাতে সিঙ্গুরের কাছাকাছি একটা পেট্রল পাম্প থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তুলে কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে ছেড়ে এসেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ। প্রশাসনের নির্দেশ ছিল ভোরের আলো ফোটার আগে অর্থাৎ সাধারণ মানুষ মমতাকে দেখার আগে তাঁকে সিঙ্গুর এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
সেদিন রাতে মমতার সঙ্গে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, সোনালী গুহরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যদি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পৌঁছে যান তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁর একসময়ের 'জনগণমন' নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীত অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। সেদিন মমতা একা ঢুকতে চেয়েছিলেন সিঙ্গুর, তবুও তাঁকে কালীঘাট নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
এদিনও সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশ প্রথম পর্যায়ে বাসন্তী হাইওয়ে ঢোকার মুখে তাঁকে আটকায় পুলিশ। তবে ৪ জন থাকায় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আপাতত ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর তাঁর গন্তব্যে পৌঁছনো যে সহজ হবে না তা সন্দেশখালিতে পুলিশের দিনভর তৎপরতায় স্পষ্ট। সেখানে রাস্তা খুঁড়ে যেন বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছে পুলিশ। রাস্তা একেবারে সংকীর্ণ করা হয়েছে। ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। এর আগের দিন পুলিশ কলকাতা পার হতে দেননি শুভেন্দুদের।
আরও পড়ুন- Central Force: আধাসেনায় মুড়ে যাবে বাংলা! কাশ্মীরের চেয়েও বিপুল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে
সন্দেশখালিতে মহিলারা নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। সন্দেশখালিতে শুভেন্দুরা আদৌ কখন পৌঁছায় সেটাই বড় প্রশ্ন।