Sheikh Shahjahan: গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে মারধর খেয়েছিল ইডি আধিকারিকরা। ওই ঘটনায় আদালতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিল ইডি। তবে হাইকোর্ট, ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে বিশেষ সিট গঠন করে। যাতে আপত্তি তোলে ইডি। এরপরই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। ৫৫ দিন পেরলেও বেপাত্তা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই গত ৭ জানুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত নির্দেশের বদল চেয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। নবান্নের দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলেই পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এদিনের শুনানিতে অবশ্য ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে ইডি, সিবিআই বা পুলিশ- কোনও পক্ষেরই কোনও বাধা নেই।
এদিন রাজ্যের তরফে আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সন্দেশখালির 'ত্রাস' শেখ শাহজাহানকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেটা উল্লেখের প্রয়োজন রয়েছে কিনা। আদালত সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনজীবীর প্রশ্নের পাল্টা প্রধান বিচারপতি জানতে চান, 'তাহলে কি আদালত ধরে নেবে শাহজাহান কোথায় রয়েছে, রাজ্য সেটা জানে!'
বুধবারের শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জানান যে, পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করবে। রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে তার বিরুদ্ধে লঘু মামলা দায়ের করতে পারে। এতে শাহজাহানেরই সুবিধা হবে। সন্দেশখালি থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক এফআইআরের প্রসঙ্গ আদালতে তুলে ধরেন ইডির আইনজীবীর। তাঁর দাবি, 'রাজ্য পুলিশ চাইলে তো ওই মামলায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারতো?'
এরপরই আদালত জানায়, ইডি, সিবিআই বা রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'মানুষের দ্বারা নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি কখনই পালিয়ে বেড়াতে পারেন না। আইনকে অস্বীকার করতে পারে না, এড়িয়ে যেতে পারেন না।' সন্দেশখালি মামলার তদন্তে সিট গঠন সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হবে আগামী সোমবার।