TMC leader Sheikh Shahjahan Arrested: পুলিশ হেফাজতে শেখ শাহজাহান। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালির 'ত্রাস' শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গতকাল রাতে মিনাখাঁর বামুনপুকুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরেই তাকে এনে রাখা হয়েছিল বসিরহাট কোর্ট লক আপে।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali) 'বাঘ' এবার পুলিশি জিম্মায়। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। বুধবার রাতে মিনাখাঁর বামুনপুকুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে বসিরহাট কোর্ট লক আপে এনে রাখা হয়। এদিন বেলা বাড়লে আদালতে তোলা হয় শাহজাহানকে। সরকারি আইনজীবী শাহজাহানের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছিলেন। যদিও বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতের নির্দেশের পর ধপধপে সাদা কুর্তা-পাজামা ও পায়ে সাদা স্পোর্টস সু পরিহিত শাহজানকে হাত নেড়ে কোর্ট ছাড়তে দেখা গিয়েছে।
শাহজাহানের গ্রেফতারিতে দেরি নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড় জমছিল। যদিও এদিন তার গ্রেফতারিতে দেরি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন বলেন, “আমাদের উপর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু শাহজাহানকে গ্রেফতারে ইডির কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। তারা কেন গ্রেফতার করল না? এই প্রশ্নটা থাকবে।”
শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এদিন BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিজেপির লাগাতার আন্দোলনের ফলেই শাহজাহান গ্রেফতার হল। সন্দেশখালির মা-বোনেদের লাগাতার আন্দোলনের জয় হল।”
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন দলের এই নেতার গ্রেফতারি নিয়ে বলেছেন, “শাহজাহানের গ্রেফতারি এটা প্রমাণ করল যে তৃণমূল সরকার রাজধর্ম পালন করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তম সরদার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে যেভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছিল সেভাবেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হল। শেখ শাহাজাহানের গ্রেফতারি এটা প্রমাণ করল যে পুলিশও রাজধর্ম পালন করেছে।”